সুকুমার সরকার, ঢাকা: পেঁয়াজের ঝাঁজে চোখে জল বাংলাদেশবাসীর। হেঁসেলের উত্তাপ ক্রমে ছড়িয়ে পড়ছে ঢাকার রাজনৈতিক অলিন্দে। ভারত থেকে রপ্তানি বন্ধ হওয়ায় অপরিহার্য সামগ্রীটির দাম আকাশছোঁয়া। তবে স্বস্তির খবর দিয়ে সরকার জানিয়েছে বিদেশ থেকে শীঘ্রই পেয়াঁজের আমদানি শুরু হবে। ফলে কমতে চলেছে দাম।
বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই মিশর এবং তুরস্ক থেকে পেঁয়াজের বড় ধরনের চালান দেশে পৌঁছনোর কথা। তার পরে পেঁয়াজের মূল্য উল্লেখযোগ্য হারে কমে আসবে। এই ঘোষণা আশার আলো দেখছেন ব্যবসায়ী মহল। ঘরোয়া বাজারে পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে আমদানিকারকদের উৎসাহিত করতে ইতোমধ্যে একগুচ্ছ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ। প্রশাসনের তরফে ইতোমধ্যেই একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। পেঁয়াজ আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক এবং সুদের হার কমানোর বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। স্থলপথে ও বন্দরগুলিতে আমদানি করা পেঁয়াজ দ্রুত ভিত্তিতে খালাসের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও বন্দর কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এ ছাড়া মায়ানমার থেকে সীমান্ত বাণিজ্যের মাধ্যমে টেকনাফ বন্দর হয়ে আমদানি করা পেঁয়াজ দ্রুত সারা দেশে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। রাজধানী ঢাকা-সহ একাধিক শহরে ৪৫ টাকা কিলো মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি করার ব্যবস্থা করেছে সরকার।
উল্লেখ্য, ভারত থেকে আসা পেঁয়াজের অভাব পূরণ করতে আর পেঁয়াজের দাম মধ্যবিত্তের নাগালে রাখতে মায়ানমার, ইজিপ্ট, তুরস্ক, চিনের মুখাপেক্ষী হয়েছে। বাংলাদেশের মতোই পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়ার মতো পেঁয়াজের প্রয়োজনে অন্য এশীয় দেশগুলিও ইজিপ্ট, তুরস্ক, চিনের শরণাপন্ন হয়েছে। তবে এই দেশগুলি থেকে আসা সরবরাহ, কোনও ভাবেই ভারতের অভাব পূরণ করতে পারছে না। গত অর্থবর্ষে ২২ লক্ষ টন পেঁয়াজ রপ্তানি করেছিল ভারত। কিন্তু, এবার দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম ৪৫০০ টাকা প্রতি একশো কেজি পেরোতেই রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। ডায়রেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি) জানিয়ে দেয়, সব রকমের পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: গড়াপেটার প্রস্তাব গোপন করার অভিযোগ, দেড় বছরের নির্বাসনের মুখে শাকিব!]
The post তুরস্ক-মিশর থেকে আসছে পেঁয়াজ, নাগালের মধ্যে আসতে চলেছে দাম appeared first on Sangbad Pratidin.