গৌতম ব্রহ্ম: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত ‘স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড’ প্রকল্পের অভাবনীয় সাফল্য। রাজ্যের ছাত্রছাত্রীরা স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের (Students Credit Card) মাধ্যমে বিপুল অঙ্কের ঋণ পাচ্ছেন। ইতিমধ্যেই যার পরিমাণ ১০০০ কোটি টাকা ছাপিয়ে গিয়েছে। সব ঠিক থাকলে জানুয়ারির মাঝামাঝিই স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডে ঋণপ্রাপকের সংখ্যা ৮০ হাজার ছাড়িয়ে যাবে।
বিধানসভা নির্বাচনের (Assembly Election) আগে তৃণমূল কংগ্রেসের ইস্তেহারে রাজ্যের পড়ুয়াদের জন্য বিশেষ ঋণের ব্যবস্থার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। নির্বাচনে জয়ের পরই পড়ুয়াদের জন্য ‘স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড’ প্রকল্প চালু করে দেন মুখ্যমন্ত্রী। ৩০ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকল্পের সূচনা হয়। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গত আটমাসে ১ হাজার ১০৫ কোটি টাকারও বেশি ঋণ অনুমোদন হয়ে গিয়েছে। মোট ৩৭ হাজারের বেশি পড়ুয়া ঋণ পেয়েছেন। নবান্ন (Nabanna) সূত্রের খবর, এমাসেই আরও প্রায় ২১ হাজার পড়ুয়ার ঋণ অনুমোদন পেতে চলেছে। আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে আরও ২১ হাজার পড়ুয়ার ঋণ অনুমোদন করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: কাঁথির সভার পোস্টারে ব্রাত্য দিলীপ ঘোষ, দলের একাংশের ক্ষোভের মুখে শুভেন্দু]
স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড থাকলে উচ্চশিক্ষার জন্য ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ পান পড়ুয়ারা। পড়ুয়া চাইলে ২ লক্ষ টাকা ঋণ নিতে পারে, আবার ১০ লক্ষও ঋণ নিতে পারে। এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হল, এই ঋণের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারই গ্যারান্টার। সুদের একটা বড় অংশও দেয় রাজ্য সরকার। যার ফলে পড়ুয়ারা অনেক কম সুদে ঋণের সুবিধা পায়। রাজ্যের বহু পড়ুয়া এই স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের জন্য ইতিমধ্যেই আবেদন করেছেন।
[আরও পড়ুন: নজরে পঞ্চায়েত ভোট, কেন্দ্রীয় প্রকল্প নিয়ে তৈরি হওয়া ক্ষোভকেই কাজে লাগাতে মরিয়া বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব]
শুধু স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড নয়। স্বর্ণজয়ন্তী গ্রাম স্বরোজগার প্রকল্পে ঋণদানের ক্ষেত্রেও রাজ্য অগ্রণী ভূমিকায়। শুক্রবার ব্যাংক কর্মীদের সঙ্গে আলোচনায় রাজ্য সরকার জানিয়েছে, মহিলাদের গোষ্ঠীগুলির ঋণ ফেরত দেওয়ার হার প্রায় ৯৮ শতাংশ। তাই এই গোষ্ঠীগুলিকে ঋণদানের পরিমাণ আরও বাড়ানো হোক। আগামী ৩ বছরের মধ্যে রাজ্যের এই গোষ্ঠীগুলিকে ৬ কোটি ঋণ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে রাজ্য সরকার। ব্যাংক এবং ঋণগ্রহীতাদের মধ্যে সমন্বয় সাধনের জন্য রাজ্য সরকার ২১০০ মহিলাকে আলাদা প্রশিক্ষণ দিয়েছে। যাঁদের বলা হচ্ছে ‘ব্যাংকিং সখী’। রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে রাজ্য সরকার।