মণিরুল ইসলাম, উলুবেড়িয়া: পঞ্চম দফায় বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে উলুবেড়িয়ায়। কিন্তু ভোট পরবর্তী হিংসায় উত্তপ্ত হয়ে উঠল এই লোকসভা কেন্দ্র। ভোটের ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই, তৃণমূল ও আইএসএফ কর্মীদের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হল উলুবেড়িয়া উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের রাজাপুর থানার তেহট্ট কাঁটাবেড়িয়া ২ নম্বর অঞ্চল। ঘটনায় উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছেন।
অন্যদিকে, হুগলির আমড়দহ গ্রাম পঞ্চায়েতের রাজীবপুর গ্রামে বিজেপির বুথ সভাপতির বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনায় এক শিশু-সহ ৬ জন আহত হয়েছেন। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
[আরও পড়ুন: ভোটের মাঝেই বন্দুক পাচারের ছক! আসানসোল স্টেশনে কার্তুজ, রিভলভার-সহ ধৃত যুবক]
মঙ্গলবার, রাজাপুর থানা এলাকায় আইএসএফ (ISF) ও তৃণমূল (TMC) কর্মীদের সংঘর্ষ বাধে। তৃণমূলের অভিযোগ, গত পঞ্চায়েত ভোটে আইএসএফ এই পঞ্চায়েত দখলের পর থেকে তাদের কর্মীরা তৃণমূলের উপর অত্যাচার চালাচ্ছে। সোমবার নির্বাচন মিটতে আইএসএফ এই এলাকা থেকে অনেক এগিয়ে থাকবে ভেবে তৃণমূলের উপর অত্যাচারের মাত্রা বাড়িয়েছে বলে অভিযোগ তুলছে শাসক দল। ঘটনায় আহতদের উলুবেড়িয়া (Uluberia) শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে আসা হয়েছে। যদিও বিষয়টিকে অস্বীকার করে আইএসএফের পালটা দাবি, তাদের কর্মীদের বাড়িতে বোমাবাজি ও ভাঙচুর চালিয়েছে তৃণমূল।
অন্যদিকে, আমড়দহ গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪৭ নম্বর বুথের বিজেপির সভাপতির বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার, সকালে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বিজেপির বুথ সভাপতি বিবেকানন্দ পোল্লের বাড়িতে চড়াও হয়ে বাড়ির দরজা ভেঙে বাড়ির সদস্যদের মারধর করে বলে অভিযোগ। শ্যামপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে এক শিশু-সহ ৬ জন আহতকে উদ্ধার করে। তাদের প্রথমে ঝুমঝুমি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায়। পরে তিনজনকে উলুবেড়িয়া শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।