সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লকডাউন থেকে নাইট কারফিউ- হাজার বন্দোবস্ত করেও বাগে আনা যাচ্ছে না করোনা ভাইরাসকে। বরং আনলক দফায় করোনার দাপট কোথাও কোথাও আরও বেড়েছে। তবে দেশের মোট ৭৭ শতাংশ অ্যাকটিভ কেস ১০ রাজ্যের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের জন্যই। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টকে এমনটাই জানাল কেন্দ্র। সেই দশটি রাজ্যের অন্যতম পশ্চিমবঙ্গও।
এদিন শীর্ষ আদালতকে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, দশটি রাজ্যই মোট ৭৭ শতাংশ অ্যাকটিভ করোনা কেসের জন্য দায়ী। এই সব রাজ্যে কোনওভাবেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না সংক্রমণ। বাংলার পাশাপাশি তালিকায় রয়েছে মহারাষ্ট্র, কেরল, রাজধানী দিল্লি, কর্ণাটক, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তিশগড়, হরিয়ানা এবং অন্ধ্রপ্রদেশ। অর্থাৎ দশটির তালিকায় তিনটি বিজেপি শাসিত রাজ্য।
[আরও পড়ুন: প্রমাণ লোপাটের সম্ভাবনা নেই, অর্ণব গোস্বামীর অন্তর্বর্তী জামিনের মেয়াদ বাড়াল সুপ্রিম কোর্ট]
একটা সময় মহারাষ্ট্রের করোনা পরিস্থিতি চিন্তার ভাঁজ ফেলেছিল দেশবাসীর কপালে। কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, গোটা দেশের মধ্যে মহারাষ্ট্রেই সবচেয়ে বেশি করোনা অ্যাকটিভ কেস (Active corona case) লক্ষ্য করা গিয়েছে। গোটা ভারতবর্ষের মধ্যে ১৮.৯ শতাংশ অ্যাকটিভ কেস শুধু মহারাষ্ট্রের। এরপরই রয়েছে কেরল ও দিল্লি। উৎসবের মরশুম শুরু হতেই যে দুই জায়গায় সংক্রমণ লাগামহীন। আনলক পর্বেও যেখানে নতুন করে আঁটসাট করতে হয়েছে কোভিড বিধি। গোটা দেশকে যথাক্রমে ১৪.৭ শতাংশ ও ৮.৫ শতাংশ অ্যাকটিভ কেস দিয়েছে এই দুই জায়গা। দেশের ৫.৭ শতাংশ অ্যাকটিভ কেসের কারণ বাংলা। কর্ণাটকের ‘দান’ ৫.৬ শতাংশ। অর্থাৎ এই সব রাজ্যে অ্যাকটিভ কেসের কারণেই এখনও দেশের সার্বিক ছবিটা উদ্বেগের। চিন্তা বাড়াচ্ছে এই সব রাজ্যের মৃত্যুহারও। তবে কেন্দ্র সু্প্রিম কোর্টকে আরও জানায়, করোনা রোগী চিহ্নিত করে তাদের সুস্থ করে তোলার জন্য প্রতিদিন গড়ে প্রায় এগারো লক্ষ নমুনা টেস্টও করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যেই দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা পেরিয়েছে ৯৩ লক্ষর গণ্ডি। যার মধ্যে বর্তমানে অ্যাকটিভ কেস সাড়ে চার লক্ষেরও বেশি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন নিজেই প্রথমে জানিয়েছিলেন দেশের ৭০ শতাংশ অ্যাকটিভ কেসের মধ্যে আটটি রাজ্য রয়েছে। তবে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) তথ্য পেশের সময় ৭৭ শতাংশ অ্যাকটিভ কেসের জন্য আরও দুটি রাজ্যের নাম যোগ করা হয়। অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় বাংলায় পরিস্থিতিতে যে তুলনামূলক ভাল, সে কথা আগেও বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। কিন্তু কেন্দ্রের রিপোর্টে যে তেমনটা মনে হচ্ছে না, তা বলাই বাহুল্য।