সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হরিয়ানার (Haryana) সিরসায় ডেপুটি স্পিকারের গাড়িতে হামলার অভিযোগে আন্দোলনকারী ১০০ জন কৃষকের (Farmers) বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের মামলা করল পুলিশ। গত ১১ জুলাই ওই বিজেপি (BJP) নেতা রণবীর গাঙ্গোয়ার গাড়িতে হামলা করেছিল বিক্ষোভকারীরা। এরপরই পুলিশ FIR করেছিল। অবশেষে বৃহস্পতিবার জানা গিয়েছে, দেশদ্রোহিতার অভিযোগ আনা হয়েছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। কেবল দেশদ্রোহিতার অভিযোগই নয়, সেই সঙ্গে খুনের চেষ্টার অভিযোগও আনা হয়েছে কৃষক আন্দোলনের দুই নেতা হরিচরণ সিং ও প্রহ্লাদ সিংয়ের বিরুদ্ধে।
গতকাল, বুধবারই আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী অন্যতম সংগঠন ‘সাম্যযুক্ত কিষান মোর্চা’র তরফে জানানো হয় কৃষকদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগই ‘মিথ্যা ও মনগড়া’। আদালতে তারা এই অভিযোগের জবাব দেবে বলেও সংগঠনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়। প্রসঙ্গত, হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খাট্টার গত মাসেই কৃষকদের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, ‘‘সীমা ছাড়ালে কারও ভাল হবে না। আমরা শান্তির বাতাবরণ বজায় রাখলেও ওরা কিন্তু ক্রমাগত হুমকি দিয়ে চলেছে।’’ এরপরই দেশদ্রোহিতার অভিযোগ আনা হল আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে।
[আরও পড়ুন: ‘রাষ্ট্রদ্রোহ আইন ঔপনিবেশিক, এখন এর প্রয়োজনীয়তা কী?’, কেন্দ্রকে প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের]
এদিকে বৃহস্পতিবারই রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের (Sedition Law) বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল সুপ্রিম কোর্ট। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরও এই ব্রিটিশ আমলের আইনের প্রয়োজনীয়তা কী তা কেন্দ্রের কাছে জানতে চেয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। আদালতের যুক্তি, রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা আসলে ঔপনিবেশিক আইন (Colonial Law)। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনকে দমন করার জন্য মহাত্মা গান্ধী, বাল গঙ্গাধর তিলকদের বিরুদ্ধে এই আইন প্রয়োগ করেছিল ইংরেজরা। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, তারা রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের বৈধতা খতিয়ে দেখবে।
বেশ কিছুদিন ধরেই হরিয়ানার কৃষক আন্দোলন ঘিরে নানা অশান্তির সৃষ্টি হচ্ছে। বহু জায়গাতেই পুলিশের সঙ্গে কৃষকদের সংঘর্ষের কথা জানা গিয়েছে। এবার বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের অভিযোগ আনায় বিতর্ক আরও জোরাল হয়ে উঠল।