সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহাকুম্ভে বাংলার দুই প্রৌঢ়ার মৃত্যু। বুধবার, মৌনী অমাবস্যায় পুণ্যস্নানে গিয়ে হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হলেন তাঁরা। মৃতদের মধ্যে একজন কলকাতা এবং অপরজন পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনির বাসিন্দা। প্রথম জনের দেহ এখনও পরিবারের হাতে আসেনি। দ্বিতীয় জনের মৃতদেহ নিয়ে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিয়েছে পরিবার। মহাকুম্ভে মৃত্যুমিছিলে বাংলার আর কেউ আছে কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়। খোঁজ চলছে।

জানা গিয়েছে, কলকাতার ৯৫ নম্বর ওয়ার্ডের অশ্বিনী নগরের বাসিন্দা বাসন্তী পোদ্দার। বয়স ৬৫ বছর। বোন, ছেলে, মেয়েকে নিয়ে পুণ্যস্নানে গিয়েছিলেন। মঙ্গলবার রাতে মৌনী অমাবস্যা পুণ্যতিথিতে ডুব দিতে গিয়েছিলেন বাসন্তীদেবী। আচমকাই হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। ধাক্কাধাক্কিতে পড়ে যান তিনি। তাঁর ছেলে চেষ্টা করেন মাকে তোলার। কিন্তু লাভ হয়নি। ততক্ষণে গুরুতর জখম হন। পরে মৃত্যু হয়। পরিবার এখনও দেহটি হাতে পায়নি। ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এদিকে স্থানীয় কাউন্সিলর তপন দাশগুপ্ত জানিয়েছেন, দেহের অবস্থা খুবই খারাপ। তবু আজকের মধ্যে দেহ কলকাতায় ফেরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
একইভাবে মহাকুম্ভে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় স্বজনহারা হলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনির পরিবারও। সেখানকার গোদপিয়ালশালের বাসিন্দা ঊর্মিলা ভুঁইয়াও গিয়েছিলেন। সঙ্গে ছিলেন দুই মেয়ে, দুই জামাই, নাতি-নাতনি। তিনিও ওই ধাক্কাধাক্কিতে পড়ে যান। তাঁকে তোলার চেষ্টা করেন জামাই। কিন্তু পারেননি। পদপিষ্টে ধাক্কাধাক্কিতে ক্ষতবিক্ষত হয়ে যান ঊর্মিলা। দীর্ঘক্ষণ খোঁজ মেলেনি তাঁর। প্রশাসনের তরফে হাসপাতাল এবং মর্গে খোঁজ নিতে বলা হয়। অবশেষে মর্গে ঊর্মিলাদেবীর দেহ পাওয়া যায়। সেখান থেকে অ্যাম্বুল্যান্সে করে দেহ নিয়ে শালবনির উদ্দেশে রওনা দিয়েছে পরিবার।
মহাকুম্ভে মৃত ৩০ জনের মৃতের মধ্যে ২৫ জনকে শনাক্ত করা গিয়েছে। বাকি ৫ জনের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।