সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এক মাসেই মোহভঙ্গ! চণ্ডীগড়ের মেয়র নির্বাচনে (Chandigarh Municipal Election) ‘ভোট কারচুপি’ বিতর্কের মধ্যে দল ছেড়ে বিজেপিতে (BJP) যোগ দিয়েছিলেন তিন আপ (AAP) কাউন্সিলর। তাঁদের মধ্যে দুজন শনিবার ‘ঘরে’ ফিরলেন। এই ঘটনায় ৩৫ সদস্যের চণ্ডীগড় পুরনিগমের ক্ষমতার অঙ্ক ফের বদলে গেল। খুশির হাওয়া কংগ্রেস-আপ বিরোধী জোটে, অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির।
গত ৩০ জুন চণ্ডীগড়ে মেয়র নির্বাচনে হয়েছিল। আপ-কংগ্রেস জোটের প্রার্থী কুলদীপ সিং প্রথমে এগিয়ে গিয়েও হেরে যান। প্রিসাইডিং অফিসার অনিল মসিহা তাঁর পক্ষের আট ভোট বাতিল করায় হারতে হয়েছিল তাঁকে। এই ঘটনায় ‘ভোট কারচুপি’র অভিযোগ উঠেছিল। বিষয়টি গড়িয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট অবধি। শীর্ষ আদালতের নির্দেশে প্রথমে ‘হেরেও’ শেষ পর্যন্ত জয়ী হন আপ প্রার্থী কুলদীপ সিং। যদিও তার আগেই পুনম দেবী, নেহা মুসাওয়াত এবং গুরুচরণ কালা নামের তিন কাউন্সিলর গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন।
[আরও পড়ুন: রামনবমীর ছুটিতে প্রবল আপত্তি কবীর সুমনের, সোশাল মিডিয়ায় গর্জে উঠলেন শিল্পী?]
এর ফলে বিজেপির কাউন্সিলর ১৪ থেকে বেড়ে হয়েছিল ১৭। এর পাশাপাশি পুরনিগমের প্রাক্তন সদস্য হিসেবে ভোটাধিকার ছিল চণ্ডীগড়ের বিজেপি সাংসদ কিরণ খেরেরও। সব মিলিয়ে বিজেপির পক্ষে ছিল ১৯টি ভোট। যা পুরনিগমের দখলের জন্য যথেষ্ট। অন্যদিকে কমে আপ কাউন্সিলর সংখ্যা হয় ১০, কংগ্রেসের ৭। যদিও মাস খানেকের মধ্যে বিজেপি ছেড়ে পুনম দেবী ও নেহা মুসাওয়াত আপে ফেরায় সেই অঙ্ক শনিবার পালটে গেল। বিরোধী জোটও পৌ্ঁছে গেল জাদুসংখ্যা ১৯-এ। সব মিলিয়ে পুরনিগম কাদের দখলে থাকবে তা নিয়ে সঙ্কট তৈরি হল।