জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: এ কেমন শাস্তি! স্রেফ সন্দেহের বশে চাঁদিফাটা রোদে দুই শিশুকে কয়েক ঘণ্টা লোহার শিকল দিয়ে বেঁধে রাখলেন মহিলা। অভিযোগ, তারা নাকি বাড়ি থেকে লোহার রড চুরি করেছে। প্রতিবেশীদের হাজার অনুরোধ সত্ত্বেও বাচ্চা দু’টিকে মুক্তি দেওয়া হয়নি। পরে পুলিশের কাছে খবর গেলে তারা এসে বাচ্চা দু’টিকে উদ্ধার করে। আটক করা হয়েছে অভিযুক্ত মহিলাকে।
উত্তর ২৪ পরগনার চাঁদপাড়ার ঢাকুরিয়া এলাকার ঘটনা। শনিবার দুপুরে দেখা যায়, মৌসুমী দাস নামে এক মহিলার বাড়ির সামনে দু’টি শিশুকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। ঠা ঠা রোদে দাঁড়িয়ে রয়েছে তারা। প্রতিবেশীরা এসে একাধিকবার অনুরোধ করলেও শিশু দু’টিকে মুক্তি দেওয়া হয়নি। মৌসুমী দাসের দাবি, তারা বাড়ি থেকে লোহার রড চুরি করেছে। বারবার বুঝিয়েও কোনও লাভ হয়নি। আজও একই কাজ করেছে। প্রতিবেশীরা পুলিশে খবর দেওয়ার কথা বলেও লাভ হয়নি। বরং অভিযুক্ত ও তার পরিবারের সদস্যদের দাবি, বাচ্চা দু’টিকে শাস্তি দেওয়ার জন্যই বেঁধে রাখা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘লোকসভা ভোটে BJP বাংলায় ২৫ আসন পেলে কান ধরে ওঠবস করব’, চ্যালেঞ্জ ফিরহাদের়]
এক এলাকাবাসী দেখেন, লোহার শিকল দিয়ে দু’টি বাচ্চা ছেলেকে বেঁধে রাখা হয়েছে। এরপর তিনি পাড়ার ক্লাবে খবর দেন। খবর পেয়ে বাকিরাও ছুটে আসেন। মৌসুমী দাসের কাছে আবেদন জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে দাবি ওই ব্যক্তির। বলা হয়, যদি বাচ্চা দু’টিল কোনও অপরাধ করে থাকে, তবে আইনের দ্বারস্থ হব। উলটে প্রতিবেশীদের নীতিশিক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অভিযুক্তর পরিবারের সদস্যরা। এমনতী. বাচ্চা দু’টি রোজই এমন ঘটনা ঘটায় বলে দাবি করেন তাঁরা।
উপায় না দেখে শেষপর্যন্ত পুলিশে খবর দেন তাঁরা। পুলিশ এসে বাচ্চা দু’টিকে উদ্ধার করে। মহিলাকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মৌসুমী দাসের পরিবারের দাবি, “বাচ্চা দু’টি লাগাতার চুরি করছিল। আমরা পুলিশকে খবর দিইনি ঠিকই। এখন প্রশাসন ওদের সাহায্য করছে।” মহিলার বর্বরতায় স্তম্ভিত এলাকাবাসী।