গৌতম ব্রহ্ম: পুরুষদের নিয়ে ২ লক্ষ স্বনির্ভর গোষ্ঠী তৈরি করা হচ্ছে রাজ্যে। হ্যাঁ, শুধু মাত্র পুরুষদের নিয়ে। পেশা ধরে ধরে গোষ্ঠীগুলি তৈরি করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে প্রায় দেড় লক্ষ্য স্বনির্ভর পুরুষ গোষ্ঠী তৈরি হয়ে গিয়েছে। গোষ্ঠীর নামে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে তা পোর্টালের সঙ্গে সংযুক্তিকরণের কাজ শুরু হয়েছে। সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে জলপাইগুড়ি জেলা। এখানকার সমস্ত স্বনির্ভর গোষ্ঠীর (Self Help Group) ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে রাজ্যের স্ব-রোজগার কর্পোরেশনের লিমিটেড বা স্ব-রোজগর নিগমের তৈরি পোর্টালের সংযুক্তিকরণ সম্পন্ন হয়েছে।
নিগমের এক আধিকারিক জানান, মহিলাদের স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির ধাঁচে এই পুরুষ স্বনির্ভর গোষ্ঠী তৈরি করা হয়েছে। উদ্দেশ্য একটাই, ২ লক্ষ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে ২০ লক্ষ পুরুষকে স্বনির্ভর করা। পেশাগতভাবে আরও বেশি সাফল্য এনে দেওয়া। কেউ যদি কোনও সামগ্রী তৈরি করে তা যাতে বিশ্বমানের হয়, প্রশিক্ষণ দিয়ে তা সুনিশ্চিত করা। যেমন কোনও একটি বিশেষ এলাকায় যদি কাঠের কাজে সুনাম থাকে, তাহলে ওই অঞ্চলের ছুতোরদের নিয়ে স্বনির্ভর গোষ্ঠী করা যেতে পারে। গোষ্ঠীর সদস্যরা যাতে উন্নত মানের আসবাব তৈরি করতে পারেন, তার প্রয়োজনীয় প্যাকেজিং করতে পারেন, তা বাজারজাত করতে পারেন, সব ব্যাপারে সহযোগিতা করবে নিগম।
[আরও পড়ুন: বৃষ্টিতে বাতিল প্রথম ম্যাচ, অন্য খেলায় মাতলেন ভারত-নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটাররা]
শনিবার বিশ্ব পুরুষ দিবস (International Men’s Day)। তার আগেই এই ব্যাপারে আরও বেশি উদ্যোগী হওয়ার অনুরোধ জানিয়ে নিগমকে ধন্যবাদ জানালেন অল বেঙ্গল মেন্স ফোরামের সভাপতি নন্দিনী ভট্টাচার্য। জানালেন, লিঙ্গবৈষম্যের কারণে পুরুষরা অনেক অবিচারের শিকার হন। রাষ্ট্রের সুযোগ সুবিধা অনেক কম পান। পুরুষ স্বনির্ভর গোষ্ঠী হলে এই লিঙ্গবৈষম্য কমবে। উল্লেখ্য ইতিমধ্যে এ রাজ্যে মহিলা নার্সের মতো পুরুষ নার্সের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। তারা বিভিন্ন হাসপাতালে বহালও হয়েছেন।
[আরও পড়ুন: কাতারকে ম্যাচ ছেড়ে দেবে ইকুয়েডর! বিশ্বকাপ শুরুর আগেই গুঞ্জন তুঙ্গে]
নিগমের চেয়ারম্যান তন্ময় ঘোষ জানালেন, মহিলাদের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর জন্যে কেন্দ্রের অনেক প্রকল্প আছে। রুরাল লাইভলিহুড মিশনের অধীনে রয়েছে প্রকল্পগুলো। কিন্তু পুরুষদের জন্যে কিছুই ছিল না। এই প্রকল্প সম্পূর্ণ মমতা বন্দোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) মস্তিষ্কপ্রসূত। রাজ্যের টাকায় পুষ্ট। দেশের মধ্যে এমন উদ্যোগ প্রথম। এই স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলোকে নানাভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে সরকার। স্বল্পসুদে ঋণের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। অনেকদিন ধরেই পুরুষদের স্বনির্ভর গোষ্ঠী তৈরির অনুরোধ আসছিল। ইতিমধ্যেই দেড় লক্ষ্য গোষ্ঠী তৈরি হয়েছে। আরও পঞ্চাশ হাজার তৈরি করা হবে। প্রত্যেকটি গোষ্ঠীকে ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন নম্বর দেওয়া হবে। তিনমাসের মধ্যেই এই দু লক্ষ গোষ্ঠী পুরোদমে কাজ শুরু করে দেবে। এমনটাই জানালেন তন্ময়বাবু।