স্টাফ রিপোর্টার: ডিএ (DA) বা মহার্ঘ ভাতার বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকার সংবেদনশীল। রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বিরুদ্ধে নয়। এটা ঠিক নয় যে সরকারি কর্মীদের নিয়ে রাজ্য সরকার ভাবে না। কিন্তু সেই অবিশ্বাসের বাতাবরণ তৈরির চেষ্টা হচ্ছে। রাজ্য বিধানসভায় সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
বকেয়া মহার্ঘভাতা (ডিএ)—র দাবিতে বুধবার বিক্ষোভ হয়েছে কলকাতায়। রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠনের আন্দোলনে উৎসাহ দিচ্ছে বিরোধীরাও। এর পরই বিধানসভায় সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্যের দুই মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও মানস ভুইঁয়া জানিয়ে দেন, সরকারি কমর্চারীদের পাশেই আছে রাজ্য সরকার। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এদিন বলেন, “২০০৮ থেকে ২০১১ সালে ৩৫ শতাংশ ডিএ ছিল। ২০১১ থেকে ২০১৯ সাল মুখ্যমন্ত্রী সেটা বাড়িয়ে করে দিয়েছিলেন ৯০ শতাংশ। তখন ২৭ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে। ২০১৯ সালে পঞ্চম পে কমিশনের সুপারিশ মেনে নেওয়া হয়েছে। ডিএ ও বেসিক মিলিয়ে ১২৫ শতাংশ করা হয়েছে।”
[আরও পড়ুন: বিধানসভায় মমতা-শুভেন্দু সাক্ষাৎ নিয়ে জোর জল্পনার মাঝেই ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য দিলীপ ঘোষের]
চন্দ্রিমার আরও বক্তব্য, “আইনগতভাবে যা করার রাজ্য সরকার তা করবে। কত বাকি সেটা ওরা বলবে। কত বাকি আছে, কি নেই সেটা আমরা বলব। এটা বিচার্য বিষয়।” পাশাপাশি রাজ্যের বকেয়া আটকে রাখা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বিরোধীদেরও এদিন তোপ দাগেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। ডিএ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধেও বঞ্চনার অভিযোগ তোলেন মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। তিনি বলেন, “ডিএ নিয়ে অবহেলা করা হচ্ছে এমনটা নয়।”
প্রসঙ্গত, বকেয়া মহার্ঘ ভাতার দাবিতে বুধবার রাজ্য সরকারি কর্মচারী যৌথ মঞ্চের সদস্যরা পথে নামেন। রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন সরকারি কর্মীরা। তবে তাঁদের মিছিল আটকে দেওয়া হয়। পুলিশ ও সরকারি কর্মীদের মধ্যে বচসা শুরু হয়। ধস্তাধস্তিও শুরু হয়। মুহূর্তের মধ্যে ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যান সরকারি কর্মীরা। কার্যত দৌড়ে বিধানসভার সামনে পৌঁছন তাঁরা। সেখানে ১৪৪ ধারা জারি থাকায় তাঁদের বাধা দেয় পুলিশ। আরও একবার পুলিশ ও সরকারি কর্মীদের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। পরিস্থিতি ক্রমেই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়।