মাসুদ আহমেদ, শ্রীনগর: দু’দিনের অভিযানে মিলল সাফল্য। দক্ষিণ কাশ্মীরের সোপিয়ানে (Shopian) গুলির লড়াইয়ে খতম দুই জেহাদি। বুধবার সকালে দু’টি দেহ উদ্ধার করেছে যৌথবাহিনী। তবে তাদের পরিচয় এখনও অজানা।
দক্ষিণ কাশ্মীরের (South Kashmir) সোপিয়ান জেলার সুগান এলাকায় কয়েকজন জঙ্গী (Terrorists) আত্মগোপন করে আছে বলে খবর মেলে। মঙ্গলবার সন্ধেবেলা গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে যৌথবাহিনী। শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। তাদের আত্মসমর্পন করার সুযোগও দেওয়া হয়। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করেনি ওই জেহাদিরা। বরং জওয়ানদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে থাকে। দু’পক্ষের মধ্যে গুলির লড়াই শুরু হয়।
[আরও পড়ুন : ইয়েস ব্যাংক কেলেঙ্কারির সঙ্গে যোগ, গ্রেপ্তার Cox & Kings-এর শীর্ষকর্তা]
এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, অনেক রাত পর্যন্ত গুলি বিনিময়ের শব্দ শোনা গিয়েছে। তবে রাত গভীর হতে অন্ধকারের জন্য তল্লাশি অভিযান বন্ধ রাখা হয়। তবে তা সাময়িক। ভোরের আলো ফুটতেই ফের দু’পক্ষের মধ্যে গুলির লড়াই শুরু হয়। যৌথবাহিনীর গুলিতে দুই জেহাদি নিকেশ হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এখনও তল্লাশি অভিযান চলছে।
প্রসঙ্গত, এ বছরের গোড়া থেকেই জঙ্গীদমন অভিযানে সাফল্য পেয়েছে যৌথবাহিনী। একাধিক সন্ত্রাসবাদিকে খতম করা, জেহাদি গোষ্ঠীতে যোগ দেওয়ার আগে কাশ্মীরি যবকদের মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এমনকী, বহু সন্ত্রাসবাদি গোষ্ঠীর মাথাদেরও নিকেশ করা হয়েছে। কিন্তু গত কয়েক সপ্তাহে জঙ্গী হানার সংখ্যা বেড়েছে। বিশেষত জাতীয় সড়কে টহলদারির সময় সেনা জওয়ানদের লক্ষ্য করে এলোপাথারি গুলি চালিয়ে চম্পট দিয়েছে অজ্ঞাতপরিচয় জঙ্গীরা। শহিদও হয়েছেন কয়েকজন জওয়ান। আবার বিজেপি নেতাদের লক্ষ্য করেও হামলা চালিয়েছে তারা। খুন হয়েছেন কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা। সব মিলিয়ে গত কয়েকমাস ধরে উত্তপ্ত ভূস্বর্গ।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার রাতে গান্ডেরওয়াল এলাকায় এক বিজেপি নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় অজ্ঞাতপরিচয় জঙ্গিরা। বরাত জোরে তিনি বেঁচে গেলেও তাঁর নিরাপত্তারক্ষীর মৃত্যু হয়।