রাহুল রায়: হাই কোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে খানিকটা স্বস্তিতে ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণরা। বৃহস্পতিবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা জানিয়েছেন, আগামী ৪০ দিন মেয়ো রোডে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ধরনা চালিয়ে যেতে পারবেন তাঁরা।
নিয়োগ দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে আন্দোলন চালাচ্ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষক (Primary Teachers) পদের চাকরিপ্রার্থীরা। ৫০ জন নতুন আন্দোলনকারীকে ধরনার জন্য নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিয়েছিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। সেই সময়সীমা পার হওয়ার পর ফের জয়েন্ট কমিশনারের কোনও অনুমতি না পাওয়ায় আদালতের দ্বারস্থ হন চাকরিপ্রার্থীরা। পরবর্তীতে পাঁচদিনের জন্য ধরনার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু অনির্দিষ্টকালের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়নি। নতুন করে ধরনার অনুমতি মিলবে না, এমনই নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি হীরন্ময় ভট্টাচার্য সিঙ্গল বেঞ্চ।
[আরও পড়ুন: শুভেন্দু ‘গদ্দার’, স্লোগান তুলে নন্দীগ্রামে শহিদ বেদির সামনে ধরনায় স্থানীয়রা, সঙ্গী কুণাল]
পরবর্তীতে ৫ দিন ধরনার অনুমতি মিলেছিল। সেই সময়ও পেরিয়ে গিয়েছে। এরপরই ধরনা চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন চাকরিপ্রার্থীরা। সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা এদিন জানিয়েছেন, ২০১৪ সালের চাকরিপ্রার্থীরা আরও ৪০ দিন গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ধরনা চালিয়ে যেতে পারবেন। তবে সেক্ষেত্রে আগের মতোই তাঁদের কিছু শর্ত মানতে হবে।
প্রসঙ্গত, পূর্বতন বাম সরকারের আমলে ২০০৯ সালে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছিল। পরীক্ষাও হয়েছিল। কিন্তু তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় এসে সেই নিয়োগ বাতিল করে। ২০১৪ সালে নতুন করে ইন্টারভিউ নেওয়া হয়। প্রত্যন্ত জেলাগুলির নিয়োগ হলেও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার নিয়োগ আটকে যায়। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, ২০১৪ সালের চাকরিপ্রার্থীদের প্যানেলই প্রকাশিত হয়নি। ১৩ বছর ধরে নিয়োগের আশায় বসে রয়েছেন তাঁরা। নিয়োগের দাবিতে রাস্তায় আন্দোলন করছেন তাঁরা।