সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুধু রাজধানী দিল্লিই নয়, গোটা দেশই সম্ভবত এগোচ্ছে হার্ড ইমিউনিটির (Herd immunity) দিকে। এমনই ইঙ্গিত মিলেছে সাম্প্রতিক সেরো সার্ভেতে। বুধবার সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া হিসেব অনুযায়ী শেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ১১ হাজার। কিন্তু গত কয়েক দিনে আক্রান্তের গ্রাফ নিম্নমুখী। এবার আরও স্বস্তি দিয়ে সরকারি সেরো সার্ভের রিপোর্ট জানাল, দেশে প্রতি চার জনে অন্তত একজনের শরীরে মিলেছে অ্যান্টিবডি (Antibody)। যার অর্থ এঁদের সকলের শরীরেই অজান্তে বাসা বেঁধেছিল কোভিড ভাইরাস (COVID virus)। অথচ তাঁরা কেউ আক্রান্ত হননি। অর্থাৎ ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা রপ্ত করতে পেরেছে তাঁদের শরীর।
বর্তমানে ভারতের জনসংখ্যা ১৩৫ কোটির কিছু বেশি। এর মধ্যে এক কোটি সাত লক্ষ মানুষ কোভিড আক্রান্ত হন বলে রিপোর্ট রয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের কাছে। মৃত্যু হয়েছে দেড় লক্ষের কিছু বেশি মানুষের। অথচ সাম্প্রতিক সেরো সার্ভের রিপোর্ট বলছে ৩০ কোটির শরীরে মিলেছে অ্যান্টিবডি। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ বা আইসিএমআর অবশ্য বুধবার এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি। তাদের তরফে জানানো হয়েছে বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে জানাবে তারা।
[আরও পড়ুন: অর্ণবের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা মুম্বই পুলিশকর্তার, টিআরপি বিতর্কের মধ্যেই বাড়ল অস্বস্তি]
তবে কত জনের উপর সমীক্ষার নিরিখে এই ৩০ কোটি আক্রান্তের রিপোর্ট মিলেছে তা জানানো হয়নি। এর আগে আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে দশ বছরের বেশি বয়সী ২৯ হাজার মানুষের উপর সমীক্ষা চালিয়ে জানানো হয়েছিল প্রতি ১৫ জনে একজনের দেহে অ্যান্টিবডি মিলেছে। সেই সংখ্যাটা চার মাস পরে প্রতি চার জন ব্যক্তির মধ্যে একজনে এসে দাঁড়িয়েছে। যত বেশি সংখ্যক মানুষের শরীরে অ্যান্টিবডি মিলবে তার অর্থ হার্ড ইমিউনিটির দিকে এগোচ্ছে দেশ।
একটি বেসরকারি সংস্থার তরফে সারা দেশে করা অ্যান্টিবডি পরীক্ষার সংখ্যাতত্ত্বে জানা গিয়েছে দেশের ৫৫ শতাংশ মানুষ আক্রান্ত হয়েছিলেন কোভিডে। সারা দেশে গত ১৮ দিনের টিকাকরণ প্রক্রিয়ায় ইতিমধ্যে ৪০ লক্ষের বেশি মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে বলে হিসেব মিলেছে। আগস্টের মধ্যে এই সংখ্যাটা ৩০ কোটিতে নিয়ে যাওয়াই লক্ষ্য কেন্দ্রের।
এদিকে দেশের মধ্যে এই প্রথম আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, কেন্দ্রশাসিত ওই অঞ্চল দু’টি একেবারে করোনা মুক্ত হল। কিছুদিন আগেও আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে চারজন করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। কিন্তু তাঁরা বর্তমানে সকলেই সুস্থ হয়ে গিয়েছেন।