সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভাল নাম অ্যাম্বারগ্রিজ। চলতি কথায় তিমির বমি (Whale Vomit)। হ্যাঁ, শুনতে যতই অদ্ভুত লাগুক, অতিকায় তিমি মাছের মুখনিঃসৃত মোমজাতীয় এই পদার্থের দাম আকাশছোঁয়া। আর তা চোরাচালান করতে গিয়েই গুজরাটে (Gujarat) ধরা পড়ল তিন চোরাচালানকারী। জানা গিয়েছে ৫.৩৫ কেজি অ্যাম্বারগ্রিস ছিল তাদের কাছে। আন্তর্জাতিক বাজারে যার মোট মূল্য আনুমানিক ৭ কোটি টাকা!
ফরেনসিক তদন্তে পুলিশ জানাতে পেরেছে ধৃত তিন অভিযুক্তদের কাছে যে পদার্থ উদ্ধার করা হয়েছে তা আসলে তিমির বমি। এরপরই তাদের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিশের ডেপুটি কমিশনার প্রেমসুখ ডেলু জানিয়েছেন, ‘‘আমরা তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছি বামালসমেত। জানা গিয়েছে, এরা একটা চক্রের অংশ। এই চক্রে দশের বেশি লোক জড়িত বলেই মনে করা হচ্ছে। আমরা তদন্ত শুরু করেছি। ধৃতদের জেরা করা হচ্ছে।’’
[আরও পড়ুন: দিল্লিতে লকডাউন বাড়িয়েও আনলক শুরুর ইঙ্গিত কেজরিওয়ালের, নিষেধাজ্ঞা তুলছে মধ্যপ্রদেশও]
জানা গিয়েছে, জেরার মুখে অভিযুক্তরা জানিয়েছে জুনাগড় থেকে আহমেদাবাদে এসে একজনের হাতে ওই অ্যাম্বারগ্রিজ তুলে দেওয়ার কথা ছিল তাদের। যে ব্যক্তিকে তা দেওয়ার কথা ছিল তাকেও চিহ্নিত করে ফেলেছে পুলিশ। তাদের আশা, শিগগিরি পুরো চক্রটিকেই ধরতে পারা সম্ভব হবে। গ্রেপ্তার হওয়া তিন অভিযুক্ত জুনাগড়, ভাবনগর ও রাজস্খানের বাসিন্দা।
ঠিক কী এই অ্যাম্বারগ্রিজ? কেনই বা তার এমন আকাশছোঁয়া দাম? আসলে তিমির অন্ত্রে জমে থাকা মোমজাতীয় জমাট এই পদার্থ, যা বমি হিসেবে শরীর থেকে বের করে দেয় অতিকায় স্তন্যপায়ী প্রাণীটি, তা প্রসাধনী অর্থাৎ সাজগোজের জিনিস তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়। তৈরি হয় সুগন্ধী পারফিউমও। এছাড়া প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতিতেও এর অসীম গুরুত্ব। তাই সব মিলিয়েই বাজারে তুঙ্গে রয়েছে এর চাহিদা।