সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ও জাতীয় নাগরিক পঞ্জি নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে সরগরম দেশের রাজনীতি। এরই মাঝে অবৈধভাবে ভারতে থাকার জেরে ৫ বছরের জেল হল তিন বাংলাদেশির। সাজাপ্রাপ্তরা হল মহম্মদ ফিরদৌস, ইমরান ও ফারিরুদ্দিন। এর পাশাপাশি তাদের ১৯ হাজার টাকা করে জরিমানা দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন লখনউয়ের বিশেষ আদালতের বিচারক সঞ্জীব কুমার। অনাদায়ে আরও ছ’মাস করে জেলে থাকতে হবে ওই তিনজনকে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালে অমৃতসর-হাওড়া এক্সপ্রেস ধরে পালাচ্ছিল ওই তিন বাংলাদেশি। সেসময় তাদের লখনউ স্টেশন থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর তাদের নামে একটি মামলা দায়ের করেন উত্তরপ্রদেশ ATS-এর আধিকারিকরা। তদন্তে নেমে জানা যায়, ধৃতদের কাছে ভারতে বসবাস করার কোনও বৈধ কোনও কাগজপত্র নেই। এখানে থাকার জন্য জাল পাসপোর্ট ও ভিসা তৈরি করেছিল তারা।
[আরও পড়ুন: নির্ভয়া কাণ্ড: মুকেশ সিংয়ের প্রাণভিক্ষার আরজি খারিজের প্রস্তাব স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের ]
২০১৭ সালে ধৃতদের নামে চার্জশিট জমা দেওয়ার পর প্রায় তিন বছর ধরে মামলাটি চলে। এরপর উপস্থিত সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে ধৃতদের দোষীসাব্যস্ত করেন বিশেষ আদালতের বিচারক সঞ্জীব কুমার। নির্দেশ দেওয়ার সময় উল্লেখ করেন, অভিযোগের স্বপক্ষে উপযুক্ত প্রমাণ দাখিল করেছে উত্তরপ্রদেশ ATS। ধৃতরা ভুয়ো কাগজ তৈরি করে ভারতে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছিল। তাই বৃহস্পতিবার তাদের পাঁচ বছরের জন্য জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হল।
[আরও পড়ুন: সারদা-নারদ-রোজভ্যালির তদন্তকারীদের রদবদল নিয়ে ক্ষোভ সিবিআইয়ের অন্দরে ]
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলে সই করে এটিকে আইনে পরিণত করেছেন। এরপর থেকেই দেশের বিভিন্ন জায়গায় CAA ও NRC বিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। কোনও কোনও জায়গায় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ হলেও অনেক জায়গায় তাণ্ডব চালিয়েছে আন্দোলনকারীরা। তারপর থেকেই অভিযোগ উঠছিল যে এদেশে প্রচুর পরিমাণ মানুষ ভুয়ো কাগজ তৈরি করে অবৈধভাবে বসবাস করছে। এই তিন বাংলাদেশির জেলে যাওয়ার ঘটনা তাতে সিলমোহর দিল।
The post অবৈধভাবে ভারতে থাকার জের, ৫ বছরের জেল তিন বাংলাদেশির appeared first on Sangbad Pratidin.