ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: ৮ বছরের ছোট্ট মেয়ে দেখে ছিল মায়ের উপর চার পশুর অত্যাচার! সেই মেয়ের সাক্ষীতেই বৃহস্পতিবার চারজন ধর্ষনকারীকে ২০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দিল বোলপুর মহকুমা আদালত। আদালতের তরফে রাজ্যকে নির্যাতিতাকে সাড়ে সাত লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৮ সালের ২৯ জানুয়ারি বীরভূমের (Birbhum) ইলামবাজার থানার ধল্লা পঞ্চায়েতের ফুলডাঙা গ্রামে একটি গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ওই দিন গ্রামে সরস্বতী পুজো ছিল। অভিযোগ, নির্যাতিতা বধূ তাঁর দুই নাবালিকা মেয়ে নিয়ে বাড়িতে শুয়ে ছিলেন। তাঁর স্বামী বাড়িতে ছিল না। এই সুযোগে ফুলডাঙা গ্রামের চার যুবক শুকু হেমরম, সরকার মাড্ডি, মন্ত্রী কিসকু, রবি বেসরা বধূকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় পাশের জঙ্গলে। সেখানে গণধর্ষণ করা হয় তাঁকে।
[আরও পড়ুন: ফের পদ্মশিবিরে অসন্তোষ? পুরুলিয়ার জেলা বিজেপি সভাপতি বদলের দাবিতে সরব দলেরই একাংশ!]
ওইদিন সরস্বতী পুজোর কারণে চারিদিকে মাইক বাজছিল। ফলে নির্যাতিতা বধূ চিৎকার করলেও কেউ তা শুনতে পাননি। গোটা ঘটনাটি দেখে নির্যাতিতার ৮ বছরের মেয়ে। ঘটনার পরের দিন ইলামবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের হয়, পুলিশ ওই দিন চারজনকে গ্রেপ্তার করে।
সরকারি আইনজীবী তপন দাস জানান, গ্রেপ্তারের পর থেকে অভিযুক্তরা জেলে ছিল। মোট ১৩ জন এই ঘটনায় স্বাক্ষী দেয়। এদের মধ্যে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ছিল নির্যাতিতার ৮ বছরের মেয়ের সাক্ষ্য। তার দেওয়া তথ্য এই কেসে খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। বৃহস্পতিবার অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারপতি সুজয় কুমার সেনগুপ্ত চার জনকে ২০ বছর জেল, প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করেন। অনাদায়ে অতিরিক্ত ১ বছর জেল। এর পাশাপাশি নির্যাতিতাকে সাড়ে সাত লক্ষ টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারকে।