সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জটিল এক শরীর মানুষের। প্রত্যেকটা অঙ্গ গুরুত্বপূর্ণ গোটা শরীরকে সুস্থ রাখতে। কোনও একটি বেগতিক হলেও বিপদ। ফুসফুস কিংবা কিংবা হৃৎপিণ্ডের যতটা গুরুত্ব, ঠিক ততটাই প্রয়োজনীয় কিডনি (Kidney) জোড়া। মধ্যপ্রদেশের পিছনের দিকে অবস্থিত শিমের মতো দেখতে এই দুই অঙ্গের উপরই শরীরের মূত্র উৎপাদন ও নিষ্কাশনের দায়িত্ব। দেহে সোডিয়াম, পটাশিয়ামের ভারসাম্য বজায় রাখতেও সাহায্য করে এই অঙ্গ। কিন্তু আপনি এদের খেয়াল রাখেন কি? আপনার রান্নাঘরে কিংবা খাবারের তালিকায় এমন অনেক খাবার আছে, যা তিলে তিলে আপনার কিডনির সর্বনাশ ডেকে আনছে।
১) স্বাদের খাতিরে মাংস খেতেই পারেন কিন্তু অতিরিক্ত মাংস খাওয়া একেবারেই ঠিক নয়। মাংস এমনিতে হজম হওয়া বেশ কষ্টকর। ফলে তা আবার কিডনির ক্ষেত্রে বোঝা হয়ে ওঠে। সময়ের সঙ্গে কিডনিতে পাথর জমতে থাকে। তা ইউরিক অ্যাসিডের অন্যতম কারণ হয়ে ওঠে।
২) নুন রোজকার খাবারে প্রয়োজন। কিন্তু তাও যখন অতিরিক্ত হয়ে যায় কিডনিতে প্রভাব ফেলে। নুনের অতিরিক্ত সোডিয়াম কিডনির শত্রু। এর জন্য এখন অনেকেই কম সোডিয়াম যুক্ত নুন খান। তবে বাড়ির খাবারে আপনি নুন কম-বেশি করে দিতে পারেন, সমস্যা তৈরি হয় প্যাকেটজাত খাবারে। তাই জাঙ্ক ফুড এড়িয়ে চলাই ভাল।
[আরও পড়ুন: কেক ছাড়া ক্রিসমাস! জাস্ট অসম্ভব, রইল শহরের নানা কেকশপের সুলুক সন্ধান]
৩) কলার অনেক গুণ। দেহে ক্যালসিয়াম ও এনার্জির ঘাটতি মেটায়। কিন্তু আগে যাঁদের কিডনির সমস্যা রয়েছে তাঁদের এই ফল খাওয়া একদম উচিত নয়। এর অতিরিক্ত পটাশিয়াম কিডনি কার্যকারিতা কম করে দেয়।
৪) শীতের বিকেলে অনেকেরই খোসা ছাড়িয়ে কমলালেবু খাওয়ার অভ্যাস আছে। তবে লোভে পড়ে কিংবা অতিরিক্ত ভিটামিন সি’র চাহিদায় বেশি খেয়ে ফেলবেন না। কারণ লেবুতেও প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে আর তা কিডনিতে গিয়ে জমা হতে থকে। তাই পরিমাণমতো খান। স্বাদ উপভোগও করুন, আর সুস্থও থাকুন। এমনই সামান্য কয়েকটি বিষয় মাথায় রেখে খাওয়াদাওয়া করলেই, কিডনিও সুস্থ থাকবে বহুদিন।