মাসুদ আহমেদ, শ্রীনগর: জঙ্গি দমনে আবারও সাফল্য পেল কাশ্মীরের নিরাপত্তা বাহিনী। বুধবার সকালেই জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) সিধরা এলাকায় গুলির লড়াইয়ে খতম ৪ জঙ্গি (Terrorist)। জঙ্গিরা ওই এলাকায় গা-ঢাকা দিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।
জম্মু ও কাশ্মীরের শীর্ষ পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন, জঙ্গিরা একটি ট্রাকে লুকিয়ে জম্মু থেকে শ্রীনগরের পথে যাচ্ছিল। সন্ধান পেয়ে ট্রাকটির কাছে নিরাপত্তা বাহিনী গেলে গুলির লড়াই শুরু হয়। গুলিতে চারজন জঙ্গি মারা গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তারা কোন জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্য ছিল তা এখনও জানা যায়নি। ঘটনাস্থল থেকে ৭টি একে-৪৭ উদ্ধার করা হয়েছে। পাওয়া গিয়েছে ৩টি পিস্তল-সহ আরও আগ্নেয়াস্ত্র। নতুন বছরের আগে ওই জঙ্গিরা কোনও নাশকতার ছক কষছিল বলেই অনুমান।
[আরও পড়ুন: সন্তান হচ্ছে না কেন, রাগে স্ত্রীর গোপনাঙ্গে ব্লেড চালাল স্বামী! চাঞ্চল্য উত্তরপ্রদেশে]
একদিন আগেই ১৫ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছিল উপত্যকার উধমপুর জেলা থেকে। ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ৪০০ গ্রাম আরডিএক্স, সিলিন্ডারের আকারের আইইডি, সাতটি ৭.৬২ মিলিমিটারের কার্টরিজ ও পাঁচটি ডেটোনেটর পাওয়া যায়। আশঙ্কা, কোনও বড় জঙ্গি হামলার ছক কষছিল জেহাদিরা। সেখান থেকে লস্কর-ই-তৈবার নামাঙ্কিত প্যাড পাওয়া গিয়েছিল। একজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়। এরপরই বুধবার খতম হল ৩ জঙ্গি। যা নিরাপত্তা বাহিনীর নয়া সাফল্য বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে গত ২৪ ডিসেম্বর উরি থেকেও প্রচুর পরিমাণে অস্ত্রশস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছিল। উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে কাশ্মীরের শোপিয়ান এলাকায় তিন লস্কর জঙ্গিকে খতম করেছিল কাশ্মীর পুলিশ। জানা যায়, এলাকায় নজরদারি চালানোর সময়ে আচমকাই পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে থাকে জঙ্গিরা। পালটা আক্রমণেই মৃত্যু হয় তিন জঙ্গির।
ডিসেম্বরের গোড়ায় ভূস্বর্গের ডিজিপি দিলবাগ সিং দাবি করেছিলেন, কাশ্মীরের সমস্ত শীর্ষ জঙ্গি নেতাদের খতম করেছে পুলিশ ও নিরাপত্তারক্ষী বাহিনী। উপত্যকায় জঙ্গি কার্যকলাপ তলানিতে এসে ঠেকেছে। কিন্তু এরপরও বিস্ফোরক উদ্ধার ও জঙ্গি খতমের ঘটনা প্রমাণ করে দিচ্ছে, এখনও কাশ্মীরে অশান্তি সৃষ্টির চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে জেহাদিরা।