তারক চক্রবর্তী, শিলিগুড়ি: সোনা পাচারকারীদের বিরুদ্ধে বড়সড় সাফল্য কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা বিভাগের। বাংলাদেশ থেকে কোমরের বেল্টের ভিতরে করে অসমে সোনা পাচারের আগেই চক্রের পর্দাফাঁস। ১০কোটি টাকার বেশি মূল্যের সোনা-সহ চার পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করল কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকেরা। ধৃতদের নাম নির্মলেন্দু পাল, সুজন পাল, পিযূষ পোদ্দার ও সুজিত দাস। প্রত্যেকের বাড়ি অসমের করিমগঞ্জে।
শনিবার কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ট্রেনে চেপে করিমগঞ্জ থেকে কলকাতায় আসছিল ধৃতরা। যাওয়ার সময়ে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে ধৃতদের সন্দেহ হওয়ায় ব্যাগে তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকেরা। তবে ব্যাগে কিছুই পাওয়া যায়নি। এরপর কোমরের বেল্টের ভিতরে বিশেষভাবে তৈরি করে রাখা গোপন চেম্বারে মেলে ৯০টি সোনার বার। যার ওজন ১৮কেজি ৬৫৭ গ্রাম। উদ্ধার হওয়া সোনার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ১০ কোটি ৬০ লক্ষ ৭০২ টাকা। এরপরই চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা বিভাগের সরকারি আইনজীবী রতন বণিক বলেন, “ওই চারজনের হেফাজত থেকে ১০ কোটি টাকার বেশি মূল্যের সোনা উদ্ধার করা হয়েছে। বিচারক তাদের ফের সোমবার আদালতে পেশ করার নির্দেশ দিয়েছেন।”
[আরও পড়ুন: ‘নিজের প্যান্ট সামলাতে পারে না, বিরোধীদের শিক কাবাব বানাবে!’, মদনকে তোপ সুকান্তর]
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিককালে কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা বিভাগের অভিযানে এটাই সবচেয়ে বেশি টাকার সোনা বলে দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। বাংলাদেশ থেকে এই সোনা অসমে পাচার করা হয়েছিল। সেখান থেকেই সোনা কলকাতার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। এর আগে, গত ৫ সেপ্টেম্বর শিলিগুড়ি জংশন এলাকায় ২৯ পিস সোনার বিস্কুট-সহ দুই পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করে কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকেরা। উদ্ধার হওয়া সোনার মোট ওজন ছিল ৪ কিলো ৮১৪ গ্রাম। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ২ কোটি ৪২ লক্ষ ৯৯ হাজার ৬২৮ টাকা। ২ আগস্ট এক ব্যক্তিকে শিলিগুড়ি জংশন এলাকা থেকে দুটি সোনার বাট-সহ এক পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করেন গোয়েন্দারা। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ছিল প্রায় ৬১ লক্ষ টাকা। গত ২৬ জুলাই ৩৫ লক্ষ টাকার বে-আইনিভাবে সোনা-সহ এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে আধিকারিকেরা। ৩জুলাই ৪৮ লক্ষ ৭০ হাজার ৪৪৭ টাকার সোনা-সহ দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছিল গোয়েন্দারা। কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে গত বছরে প্রায় ১১কোটি টাকার চোরাও সোনা উদ্ধার করা হয়েছে।