অর্ণব আইচ: রেশন দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেপ্তার বাকিবুর রহমান ঘনিষ্ঠ দেগঙ্গার তৃণমূল নেতা ও তাঁর ভাই। ইডির হাতে ধৃত ওই দুজনকে শুক্রবার আদালতে পেশ করা হয়। ইডি সূত্রে খবর, ৪টি রাইস মিলের মাধ্যমে ৪৫ কোটি টাকা গরমিল করেছেন দুজনে।
ইডি সূত্রে আরও খবর, ভুয়ো কৃষকদের দেখিয়ে বাকিবুর রহমানের মতোই আনিসুর ভাইরা সরকারি খাতের ৪৫ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। এমন অন্তত ১০০ জন ভুয়ো চাষির নথি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ২০১৮ সালের পর কৃষকদের থেকে চাল কেনার জন্য অনলাইন পোর্টাল তৈরি করে রাজ্য সরকার। সেই পোর্টালেই ভুয়ো চাষিদের তথ্য এন্ট্রি করে হাতানো হয় সরকারি টাকা। একজন কৃষক সর্বোচ্চ ২৫ কুইন্টাল চাল বিক্রি করতে পারেন। কৃষকদের ৫ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার কথা। কিন্তু কৃষকদের অ্যাকাউন্টে ৫ লক্ষ টাকার বদলে ৪০ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়।
[আরও পড়ুন: ব্যাগে গোটা সংসার, লন্ডনে জুতো হাতে ঘুরছেন স্বস্তিকা, মেয়ের গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানে কী কাণ্ড!]
ইডির আরও দাবি, জেলবন্দি প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সাহায্যে ধানের সহকারী মূল্যের ৪৫ কোটি টাকা হাতানো হয়। পরে আবার সেই টাকা আনিসুররা জ্যোতপ্রিয়র তিনটি কোম্পানির অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার কবলেই জানতে পেরেছেন ইডি আধিকারিকরা। তদন্তকারীদের দাবি, ৪৫ কোটির মধ্যে ১৬ কোটি টাকা ভুয়ো কৃষকদের মাধ্যমে টাকা তোলা হয়েছিল। এছাড়া ধৃত দুই ভাইয়ের অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছে।
উল্লেখ্য, রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক গ্রেপ্তারির পরই অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেই সময় একটি চিঠি নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে আসে। ওই চিঠি নিয়ে জোর শোরগোল বাঁধে। ওই চিঠিতেই দেগঙ্গার তৃণমূল নেতা আনিসুর রহমান ও তাঁর ভাই আলিফের নাম রয়েছে বলেই দাবি ইডির। সেই সূত্র ধরেই ইডির স্ক্যানারে চলে আসেন দুই ভাই। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে সিজিও কমপ্লেক্সে একটানা প্রায় ১৪ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁদের গ্রেপ্তার করে ইডি।