সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শতাব্দী প্রাচীণ খাবারের ইতিহাস আমাদের এই দেশে। নানা প্রান্তে রসনাতৃপ্তির নানা লোভনীয় উপাদান ছড়িয়ে রয়েছে। এর মাঝেই এমন পাঁচ খাবার রয়েছে যা বিশ্বের একাধিক দেশে নিষিদ্ধ, তবে ভারতবর্ষে বেশ জনপ্রিয়।
এক্ষেত্রে প্রথমেই সিঙাড়ার কথা বলা যেতে পারে। বর্ষার বিকেলে বা শীতের অবেলায় গরম গরম সিঙাড়ায় কামড় বসাতে অনেকেই পছন্দ করেন। কিন্তু জিভে জল আনা এই খাবারই দক্ষিণ আফ্রিকার সোমালিয়ায় ২০১১ সাল থেকে নিষিদ্ধ। কেন? কারণ এর ত্রিকোণ আকার। সোমালিয়ায় নাকি সিঙাড়ার এই ত্রিকোণ আকারকে খ্রিস্টধর্মের প্রতীক মনে করা হয়। সেই কারণেই এই খাবারটিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
শীতের এই সময় চ্যবনপ্রাশ অনেকেই খেয়ে থাকেন। মনে করা হয়, এতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর ভেষজ উপাদান রয়েছে। কিন্তু ২০০৫ সাল থেকে কানাডায় চ্যবনপ্রাশ নিষিদ্ধ। কারণ হিসেবে বলা হয়, এতে নাকি সীসার মাত্রা বেশি।
[আরও পড়ুন: কনকনে শীতে গরম ভাতের সঙ্গে হাঁসের মাংসের মালাইকারি! কীভাবে রাঁধবেন? রইল রেসিপি]
গরম ধোঁয়া ওঠা ভাতে একটু ঘি হলেই অনেকের খাওয়া হয়ে যায়। রুটি, পরোটাতেও ঘি খেতে পছন্দ করেন অনেকে। স্বাস্থ্য সচেতন মানুষজন আবার শুধু ঘি-ও খেয়ে থাকেন। অনেকেই একে ‘সুপারফুড’ বলে থাকেন। কিন্তু আমেরিকার ফুড ও ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের মতো এতে রক্তচাপ বাড়ে। ফলে হৃদরোগের সম্ভাবনা তৈরি হয়। তাই তো মার্কিন মুলুকে এই খাবারটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
সিঙাড়া, পাকোড়া, চাউমিনের মতো খাবারের সঙ্গে একটু কেচআপ চলতেই পারে। কিন্তু ফ্রান্সে এমনটা নয়। তরুণ প্রজন্ম কেচআপে আসক্ত হয়ে পড়ছে। এই কারণ দেখিয়েই সে দেশে খাবারের এই সঙ্গীকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
সিঙ্গাপুর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে খুবই কড়া। তাই তো সে দেশে ১৯৯২ সাল থেকে চুইংগাম জাতীয় জিনিস নিষিদ্ধ ছিল। যদিও আন্তর্জাতিক মহলের চাপে ২০০৪ সাল থেকে থেরাপিউটিক ডেন্টাল চুইংগামে ছাড় দেওয়া হয়।