সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মণিপুরে বড় ধাক্কা খেল জনতা দল (ইউনাইটেড)। সুপ্রিমো নীতীশ কুমারকে চমকে দিয়ে দলটির ছ’জনের মধ্যে পাঁচজন বিধায়কই যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, বিহার এপিসোডের পর মণিপুরেও বিজেপি সরকার থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করতে পারেন নীতীশ বলে সম্প্রতি জল্পনা ছড়িয়েছে।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার দলবদলের কথা ঘোষণা করেন পাঁচ জেডিইউ বিধায়ক– কে জয়কিসান সিং, গুরুসঙ্গলুর সানাতে, আচাবউদ্দিন, থাঙ্গজাম অরুণকুমার এবং এল এম খাউতে। ওইদিনই বিধানসভার অধ্যক্ষের সঙ্গে দেখা করে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন তাঁরা। সংবিধানের দশম অনুসূচী মেনে দলবদলে সম্মতি প্রধান করেন স্পিকার। এই মর্মে সচিবালয়ের থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, আজই পাটনায় জনতা দলের কার্যকরী সমিতির বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা ছিল ওই পাঁচ বিধায়কের।
[আরও পড়ুন: বিহারের পর মণিপুর! বিজেপি সরকার থেকে সমর্থন প্রত্যাহারের পথে নীতীশ, চাপে গেরুয়া শিবির]
রাজনৈতিক কলাকুশলীদের মতে, বিহারের বদলা নিয়েছে বিজেপি (BJP)। উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলি এবং রাজনেতাদের বরাবরই কেন্দ্রের দিকে ঝুঁকে থাকার প্রবণতা রয়েছে। সেই মানসিকতা কাজে লাগিয়ে ২০২০ সালে অরুণাচল প্রদেশে দল ভাঙায় বিজেপি। একই ফর্মুলায় এবার মণিপুরে বাজিমাত করেছে গেরুয়া শিবির। বলে রাখা ভাল, ৬০টি আসনের মণিপুর (Manipur) বিধানসভায় ম্যাজিক ফিগার হচ্ছে ৩১। রাজ্যে বিজেপির আসন সংখ্যা ৩২। পড়ে পাওয়া চোদ্দ আনার মতো পাঁচ জেডিইউ বিধায়কের দৌলতে এবার সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৭।
এদিকে, এই ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছে জেডিইউ। দলের সর্বভারতীয় সম্পাদক এবং উত্তর-পূর্বের দায়িত্বপ্রাপ্ত আশফাক আহমেদ খান বলেন, “মণিপুরে যা হচ্ছে তাতেই বিজেপির নৈতিক অবস্থার ধারণা পাওয়া যায়।”
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে অরুণাচল প্রদেশের সাত জেডিইউ বিধায়কের মধ্যে ছ’জনই বিজেপিতে যোগ দেন। গত আগস্টে সে রাজ্যে নীতীশের শেষ বিধায়কও গেরুয়া শিবিরে চলে আসেন। বছর কয়েক আগে নাগাল্যান্ডের একমাত্র জেডিইউ বিধায়ক দল ছাড়েন । সবমিলিয়ে, এই মুহূর্তে শিবরাত্রির সলতের মতো গোটা উত্তর-পূর্বে জেডিইউ-র একমাত্র বিধায়ক মণিপুরের মহম্মদ আবদুল নাসির। এর ফলে ২০২৪-এ জাতীয় রাজনীতিতে নীতীশ কুমারের অভিযান বিরাট ধাক্কা খেয়েছে।