সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সভাপতি নির্বাচনের আগে কংগ্রেসের (Congress) সব পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন বর্ষীয়ান নেতা গুলাম নবি আজাদ (Ghulam Nabi Azad)। দীর্ঘ পাঁচ দশকের সম্পর্ক ছিন্ন করে নতুন দল গড়ার ঘোষণা করেছেন তিনি। তিনি দল ছাড়ার পর একে একে কংগ্রেস ছেড়েছেন ৬৪ জন নেতা। এই পরিস্থিতিতে কাশ্মীরে আরও ৫১ জন নেতার দল ছাড়ার সম্ভাবনাকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে নয়া আশঙ্কা। সব মিলিয়ে আজাদের দল ছাড়াকে কেন্দ্র করে নয়া অস্বস্তিতে কংগ্রেস।
এই পরিস্থিতিতে আজ মঙ্গলবার সদ্য ছেড়ে আসা দলের বিক্ষুব্ধ তথা জি-২৩ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করলেন বর্ষীয়ান রাজনীতিক। যাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন আনন্দ শর্মা, পৃথ্বীরাজ চৌহান ও ভুপিন্দর হুডার মতো অভিজ্ঞ কংগ্রেস নেতাও। এই নেতারা সকলে মিলে আজাদের দিল্লির বাড়িতে যান এদিন। কেন নির্বাচনের ঘোষণার পরে কাউকে কিছু না জানিয়ে এভাবে দল ছাড়লেন তিনি, তা জানতেই তাঁরা সেখানে গিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: নাবালিকার মৃত্যু ঘিরে উত্তপ্ত ঝাড়খণ্ড, রাজ্য ছেড়ে সরকার বাঁচাতে রাজ্যছাড়া মুখ্যমন্ত্রী সোরেন]
আসলে ৭৩ বছরের আজাদ জি-২৩ গ্রুপের নেতা। ২০২০ সালে তাঁরা কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখে নয়া সভাপতি নির্বাচনের আরজি জানিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে শতাব্দীপ্রাচীন দলটির জন্য ‘পরিষ্কার, সর্বক্ষণের এবং সুস্পষ্ট শীর্ষ নেতৃত্বে’র দাবিও জানিয়েছিলেন তাঁরা। এই চিঠিতে ঘিরে বিতর্ক ঘনায়। আজাদের নেতৃত্বে দলের ২৩ জন নেতাকে জি-২৩ গ্রুপ হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছিল। অবশেষে যখন নির্বাচন ঘোষিত হল, ঠিক সেই সময়ই আজাদ দল ছাড়ায় কিছুটা বিভ্রান্ত ক্ষুব্ধ নেতৃত্বের বাকিরা।
কেন এভাবে দল ছাড়লেন? এই প্রশ্নের উত্তরে আজাদ জানিয়েছেন, দলে যেভাবে তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছিলেন কংগ্রেস নেতৃত্বের একাংশ, সেই কারণেই দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন তিনি।
এদিকে মঙ্গলবারই সোনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi) কাছে যৌথ ভাবে দল ছাড়ার আবেদন জানিয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীরের ৫১ জন কংগ্রেস নেতা। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তারা চন্দও। সব মিলিয়ে নির্বাচনের আগে গান্ধী পরিবারের অস্বস্তি যে বাড়ল তাতে সন্দেহ নেই।