এক তীর্থেই সব ৫১ সতীপীঠ দর্শন, তারাপীঠে তৈরি হচ্ছে নতুন মন্দির, মিলল ছাড়পত্র
রাজ্য পর্যটন দপ্তর থেকে এর জন্য ইতিমধ্যেই দু'কোটি টাকার উপর তহবিল পাঠিয়ে দিয়েছে।
Tap to expand
এক তীর্থেই সব সতীপীঠ দর্শন। তারাপীঠে গড়ে উঠছে ৫১ সতীপীঠের মন্দির। কেন্দ্রীয় পরিবেশ দপ্তর তার ছাড়পত্র দিল রাজ্য সরকারকে। যা পেয়ে খুশি জেলা প্রশাসন।
Tap to expand
জেলাশাসক বিধান রায় জানান, এখন তারাপীঠের কাছেই বিশ্বদর্শন হয়ে যাবে। তার জন্য রাজ্য পর্যটন দপ্তর থেকে ইতিমধ্যেই দু'কোটি টাকার উপর তহবিল পাঠিয়ে দিয়েছে। বীরভূম পঞ্চ সতীপীঠের জায়গা। দক্ষযজ্ঞে সতীর মৃত্যুর পরে শিব সতীর শবদেহ নিয়ে তাণ্ডব নৃত্য শুরু করেন। যা এক অনাসৃষ্টি তৈরি হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে নারায়ণ তাঁর সুদর্শন চক্র দিয়ে সতীর শবদেহকে ৫১ টি টুকরো করে তা ছড়িয়ে দেন।
Tap to expand
পৃথিবীর যেখানে যেখানে সেই সতীদেহের টুকরো পড়েছে সেখানেই গড়ে উঠেছে সতীপীঠ। তা আমাদের দেশেও যেমন আছে। দেশের বাইরেও আছে। সেই ৫১ সতীপীঠের আদলে ছোট ছোট করে একটি মন্দির গড়ে উঠবে তারাপীঠ ঢোকার মুখেই ১৪, ৬৮২ হেক্টর এলাকা জুড়ে।
Tap to expand
উল্লেখ্য ২০১৭ জানুয়ারি মাসে এই ভাবনার অনুমোদন দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমরা সেই সময় মুখ্যমন্ত্রীকে এই প্রস্তাব দিয়েছিলাম। তিনি পর্যটনকে ভিত্তি করে বীরভূমের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে সেই প্রস্তাবের সঙ্গে সঙ্গে ছাড়পত্র দিয়ে দেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার জমির ছাড়পত্র দিতে পাঁচ বছর সময় লাগিয়ে দিল। নাহলে এতদিনে প্রকল্প তৈরি হয়ে যেত।’’
Tap to expand
তারাপীঠ সতীপীঠ না হলেও তাকে কেন্দ্র করে সারাবছর পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে। সেজন্য তারাপীঠের কাছেই এই প্রকল্প করার পরিকল্পনা নেয় জেলা প্রশাসন। জাতীয় সড়ক থেকে মনসুবা গেট পার হয়ে সড়ক পথে তারাপীঠ ঢোকার মুখে দ্বিতীয় গেটের কাছেই বিশাল এলাকা জুড়ে এই ৫১ পীঠের মহাকেন্দ্র গড়ে উঠবে। তার জন্য খরুন ও বরশাল দুটি গ্রামপঞ্চায়েতের উদয়পুর ও কৌড়া মোড়ের অনেকাংশ জুড়ে এই প্রকল্প তৈরি হবে। ওই এলাকায় বনদপ্তরের ১৪ হাজার ৬৮২ হেক্টর জমি প্রয়োজন ছিল জেলা প্রশাসনের।
Tap to expand
কেন্দ্রীয় বন, পরিবেশ ও আবহাওয়া মন্ত্রকের তরফ থেকে বনদপ্তরের অতিরিক্ত মুখ্য সচিবকে বীরভূমের এই ‘মহা পর্যটনকেন্দ্র’ তৈরির জন্য শর্তসাপেক্ষে ছাড়পত্র দেয়। তবে তারাপীঠে বনদপ্তরের চূড়ান্ত ছাড়পত্র পেতে তার পরিবর্তে রাজনগরে খাস জমিকে বনদপ্তরে রুপান্তরিত করার জন্য জমি বনদপ্তরের হাতে তুলে দিতে হয়।
Tap to expand
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজনগরের গাংমুড়ি জয়পুর পঞ্চায়েতে সুন্দরখেলা এলাকায় তারাপীঠের বনদপ্তরের জমির পরিবর্তে ৬৯,৬৮ একর খাস জমি দিতে হয়েছে। বিধান রায় জানান, জমি হাতে পাওয়ার পর ফের নতুন করে এই মহাবিশ্ব কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। বীরভূমের অন্যতম আকর্ষণ হয়ে উঠবে এই কেন্দ্র।
Published By: Sulaya SinghaPosted: 08:22 PM Mar 17, 2023Updated: 08:22 PM Mar 17, 2023
রাজ্য পর্যটন দপ্তর থেকে এর জন্য ইতিমধ্যেই দু'কোটি টাকার উপর তহবিল পাঠিয়ে দিয়েছে।