সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৮৫ বছরের এক অসুস্থ বৃদ্ধাকে দিনের পর দিন ধর্ষণের (Rape) অভিযোগ উঠল ৫৭ বছরের প্রৌঢ়ের বিরুদ্ধে। বৃদ্ধা ওই ব্যক্তির স্ত্রীর ঠাকুমা! এমন ঘটনায় চাঞ্চল্য কেরলের (Kerala) কোট্টায়ামে। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ঠিক কী হয়েছিল? রাজ্যের কোন্নি গ্রামে সপরিবারে থাকতেন অভিযুক্ত শিবদাসন। সেখানেই এসে ওঠেন ওই বৃদ্ধা। বয়সজনিত নানা সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। অভিযোগ, ১০ মে থেকে ১৫- এই কয়েক দিনে বারবার তাঁকে ধর্ষণ করেন তাঁরই নাতজামাই। সংকোচে কাউকে এবিষয়ে কিছু বলতে পারছিলেন না ওই বৃদ্ধা। তবে এরপরই পরিচিত এক অঙ্গনওয়ারি কর্মীকে বিষয়টি খুলে বলেন তিনি।
[আরও পড়ুন: বন্যাবিধ্বস্ত অসমের রাস্তায় পিছলে গেল বাইকের চাকা, কাজ করতে গিয়ে মৃত অশোকনগরের জওয়ান]
সেই কর্মীর সূত্রেই খবর যায় কেরল পুলিশের কাছে। এরপরই তদন্তে নামে পুলিশ। খবর পেয়ে এলাকা ছাড়েন অভিযুক্ত। শেষ পর্যন্ত শুক্রবার তাঁকে আটক করে পুলিশ। শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। শেষ পর্যন্ত শনিবার গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্তকে। জানা গিয়েছে, জেরার মুখে নিজের সব অপরাধ ইতিমধ্যেই কবুল করেছেন ওই ব্যক্তি। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ধারায় ধর্ষণের মামলা রুজু করা হয়েছে।
এদেশে নারী নির্যাতনের হার দিনে দিনে বাড়ছে। নারী নির্যাতনে সবচেয়ে বেশি হওয়া অপরাধে চার নম্বরে স্থান ধর্ষণের। ‘ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো’র হিসেব অনুযায়ী, ২০১৯ সালে দেশে দৈনিক ৮৮ জন মহিলা ধর্ষিতা হয়েছিলেন। দেখা গিয়েছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নির্যাতিতার পরিচিতরাই অভিযুক্ত। কেরলের ঘটনাটিতেও সেটাই দেখা গিয়েছে। ওই বৃদ্ধা প্রথমে সংকোচে কিছু বলতে না পারলেও ঘটনাটি শেষ পর্যন্ত প্রকাশ্যে আসার পরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। ধর্ষিতা ও ধর্ষণে অভিযুক্ত দু’জনেই বর্ষীয়ান নাগরিক। এক অসুস্থ বৃদ্ধার উপরে কী ভাবে এমন নির্যাতন চালালেন ওই ব্যক্তি, তা ভেবে পাচ্ছেন না এলাকার বাসিন্দারা।