সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গুলির লড়াইয়ে আট জন মাওবাদীকে খতম করল জওয়ান ও পুলিশরা। সোমবার ছত্তিশগড়ের সুকমায় পুলিশের ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি) ও সিআরপিএফের ২০৬ ও ২০৮ কোবরা ইউনিট যৌথভাবে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালায়। তাতেই খতম হয় ওই আট মাও সদস্য। তবে লড়াইয়ে শহিদ হয়েছেন ২ পুলিশকর্মী।
সুকমার পুলিশ সুপার অভিষেক মীনা বলেছেন, যৌথ বাহিনীর লড়াইয়ে আট জন মাওবাদী খতম হওয়ার পাশাপাশি একজন গুরুতর আহত হয়েছে। তাকে ঘটনাস্থল থেকে নিয়ে আসা হয়েছে। এছাড়া তল্লাশি চালাতে গিয়ে বেশ কয়েকটি বন্দুকও উদ্ধার করেছে পুলিশ ও জওয়ানরা। তল্লাশি এখনও চলছে। মাওবাদীদের গোপন ডেরার সন্ধান শুরু করেছে সিআরপিএফের কোবরা বাহিনী। গভীর জঙ্গলে ঢুকে খোঁজ চালাচ্ছেন তাঁরা।
[ বিদেশ থেকে কত কালো টাকা ফিরল? জবাব দিতে নারাজ কেন্দ্র ]
রবিবারও দুই মাওবাদীকে খতম করেন পুলিশ ও জওয়ানরা। সেদিন তল্লাশি চলছিল বিজাপুর জেলায়। লড়াইয়ে এক পুলিশকর্মী গুরুতর আহত হন। রবিবারও পুলিশের ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি) ও সিআরপিএফের ২০৬ ও ২০৮ কোবরা ইউনিট যৌথভাবে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালায়। পুলিশ সুপার মোহিত গর্গ রবিবার জানিয়েছিলেন, ছত্তিশগড়ের রাজধানী রায়পুর থেকে ৪৫০ কিলোমিটার দূরে নীলামাদগু ও কোরিনজের এলাকায় তল্লাশি চালায় যৌথ বাহিনী। বেলা আড়াইটে নাগাদ জঙ্গলে ঢোকে তারা। তাদের জঙ্গলে ঢুকতে দেখেই গুলি চালায় মাওবাদীরা। পালটা গুলি চালায় সেনা ও পুলিশ। প্রায় ৪০ মিনিট ধরে চলে গুলি বিনিময়। সেই সময়ই এক ডিআরজি জওয়ানের গায়ে গুলি লাগে। তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়।
এছাড়া গত বুধবার সকালে বিজাপুর থেকে সাত কিলোমিটার দূরে ঘাট্টি এলাকায় আইইডি বিস্ফোরণ ঘটায় মাওবাদীরা৷ সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, বিস্ফোরণে গুরুতর জখম হন চার জন বিএসএফ জওয়ান, একজন ডিআরজি ও একজন স্থানীয় বাসিন্দা৷ তাঁদের ভরতি করা হয় বিজাপুর হাসপাতালে৷ বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয় তল্লাশি অভিযান৷
[ ‘কুম্ভমেলাতেই ঘোষিত হবে রাম মন্দির নির্মাণের দিন’ ]