সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আন্তর্জাতিক মঞ্চে ফের পাকিস্তানকে তুলোধনা করল ভারত। রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার পরিষদে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার হনন নিয়ে ইসলামাবাদকে অত্যন্ত কড়া ভাষায় তোপ দাগেন নয়াদিল্লির প্রতিনিধি।
শুক্রবার মানবাধিকার পরিষদে পাকিস্তানের কড়া সমালোচনা করে ভারতের প্রতিনিধি সীমা পুজানি বলেন, “পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে আজ পাকিস্তানে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা স্বাধীনভাবে বাঁচতে পারে না। নাবালিকাদের ইসলাম গ্রহণে বাধ্য করা হয়। হিন্দু ও শিখদের ধর্মস্থলে হামলা হয়। নিজের ধর্মপালনের জন্য আহমেদিয়া সম্প্রদায়কে নিপীড়ন সহ্য করতে হয়। বালোচরা অত্যাচারিত। গোটা বিশ্বে হাজার হাজার সাধারণ মানুষের মৃত্যুর জন্য পাকিস্তানের নীতি দায়ী। ধর্মীয় অবমাননা আইনের নামে খ্রিস্টানদের নিশানা করা হয়।”
[আরও পড়ুন: রেকর্ড পতন পাক মুদ্রার দামে, আর্থিক সংকটে জেরবার ইসলামাবাদ]
বলে রাখা ভাল, বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার পরিষদে কাশ্মীরিদের মানবাধিকার হরণ হচ্ছে বলে ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন পাকিস্তানের (Pakistan) প্রতিনিধি হিনা রব্বানি খার। একইসঙ্গে ভারতকে অস্ত্র বিক্রির বিরুদ্ধেও সরব হন তিনি। তারপরই, জবাব দেওয়ার অধিকার প্রয়োগ করে পাকিস্তানকে তুলোধনা করল ভারত।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানে হিন্দুদের উপর অত্যাচার নতুন ঘটনা নয়। বিশেষ করে সিন্ধ প্রদেশে জোর করে ধর্মান্তকরণের ঘটনার খবর প্রায়ই প্রকাশ্যে আসে। কখনও সেখানে হিন্দুদের ঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়, কখনও আবার মহিলাদের উপর হয় অকথ্য নির্যাতন। বাদ পড়ে না শিশুরাও। গত বছর ১৮ বছরের তরুণী পূজা কুমারীর মৃত্যু ঘিরে তোলপাড় হয় পাকিস্তান (Pakistan)। সিন্ধ প্রদেশের বাসিন্দা ওই হিন্দু তরুণীকে গুলি করে খুন করা হয়। তারপর তাঁর দেহ ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হয় রাস্তায়। অভিযোগ, ওয়াহিদ বক্স লাশারি নামের অভিযুক্ত পূজাকে ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করতে চেয়েছিল। তাতে রাজি না হওয়াতেই সে খুন করে ওই তরুণীকে।