সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গ্যাসের পাইপলাইনে বিস্ফোরণের জেরে মৃত্যু হল ন’জন শ্রমিকের। জখম হয়েছেন কমপক্ষে আরও ১৪ জন। মঙ্গলবার সকালে ভিলাই ইস্পাত কারখানায় এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ আধিকারিক ও উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে৷ ওই কারখানা থেকে শ্রমিকদের উদ্ধারকাজ চলছে৷ আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে৷
[সহবাসে আপত্তি, ঘুমন্ত অবস্থায় স্ত্রীর গলা কাটল যুবক]
[জেগে উঠল ভারতের একমাত্র জীবন্ত আগ্নেয়গিরি, শুরু অগ্ন্যুৎপাত]
মঙ্গলবার সকালে ভিলাই ইস্পাত কারখানায় কাজ করছিলেন শ্রমিকরা৷ এদিন সকালে কারখানার পুরনো শাখায় নতুন ও অত্যাধুনিক চুল্লি লাগানোর কাজ চলছিল। স্টিল অথরিটির তরফে জানানো হয়েছে, আচমকাই সেই সময় গ্যাসের পাইপলাইনে বড়সড় বিস্ফোরণ ঘটে৷ প্রচণ্ড শব্দে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন শ্রমিকরা৷ ততক্ষণে গ্যাসের পাইপলাইনের আশেপাশে থাকা শ্রমিকরা যন্ত্রণায় ছটফট করছেন৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় রাইপুর থানার পুলিশ৷ যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয় উদ্ধারকাজ৷ একে একে ন’জন শ্রমিকের প্রাণহানি হয়েছে৷ সেই সময় কারখানায় থাকা আরও ১৪জন শ্রমিকও গুরুতর জখম হয়েছেন৷ তাঁদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে৷ প্রত্যেকের শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক৷ মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ দুর্ঘটনার পর কারখানার সামনে এসে ভিড় জমান শ্রমিকদের পরিজনেরা৷ স্টিল অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, ভিলাইয়ের কারখানায় বিস্ফোরণের ফলে চুল্লির নিচের দিকে ফাটল দেখা দিয়েছে। যেখান থেকে গরম ধাতু বেরিয়ে আসছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে বলে দাবি কারখানা কর্তৃপক্ষের।
[কলেজের সামনে ‘ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগান, উত্তরপ্রদেশে আক্রান্ত ৪ পড়ুয়া]
২০১৪ সালে ভিলাইয়ের ইস্পাত কারখানায় গ্যাস লিক করে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটে৷ জলের পাম্পের পাইপ লিক করে কার্বন মনোক্সাইড ছড়িয়ে পড়ে গোটা কারখানায়৷ তাতেই ছ’জন শ্রমিক প্রাণ হারান৷ গুরুতর জখম হন অন্তত ৫০জন৷