shono
Advertisement

রেকর্ড সংখ্যক সর্পদংশনের ক্ষত শরীরে নিয়ে বেঁচে আছেন লিঙ্গরাজু

পাঁচ বছর আগে শোলাপুরে প্রথম তাঁকে সাপ কামড়ায় এরপর আরও সাতবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়।
Posted: 09:42 PM Sep 19, 2016Updated: 04:12 PM Sep 19, 2016

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১২টি সাপের কামড় খেয়েছেন। কামড়ের তালিকায় রয়েছে শঙ্খচূড়ের মতো বিষাক্ত সাপ। আর নিজেই বহাল তবিয়তে সেই গল্প বলছেন ২০ বছরের লিঙ্গরাজু।

Advertisement

অবাক হচ্ছেন?

অবাক শুধু শ্রোতারা নয়, ডাক্তাররাও। কী ভাবে এখনও সুস্থ লিঙ্গরাজু তার যুক্তিসঙ্গত কোনও কারণ দেখাতে পারেননি ডাক্তাররা। বলা যায় অলৌকিক ঘটনার সাক্ষীই থাকছে লিঙ্গরাজুর পরিবার ও প্রতিবেশীরা।

তাঁর পরিবার জানিয়েছে, পাঁচ বছর আগে শোলাপুরে প্রথম তাঁকে সাপ কামড়ায় এরপর আরও সাতবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়। ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে ছ’মাস তাঁকে চিকিৎসাধীন রাখা হয়। পরিবারের সদস্যদের ধারণা ছিল, শোলাপুরে কোনও অভিশাপের ফলেই এমনটা ঘটছে। চিকিৎসার জন্য খরচ হয়েছে প্রায় ৪০,০০০ টাকা। তাই শোলাপুর ছেড়ে এই চাষি পরিবার চলে আসে বেঙ্গালুরুর বিজয়পুরে। কিন্তু তাঁদের এই ধারণার পরিবর্তন হয়, কারণ নতুন জায়গাতেও অবস্থার পরিবর্তন হয়নি। ফের সাপের কামড় খান লিঙ্গরাজু। এবার পরপর চারবার।

বারংবার একই ঘটনা ঘটার ফলে আতঙ্কে তাঁকে ঘরের বাইরে যেতে দিচ্ছেন না অভিভাবকরা। গ্রামের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক সোমশেখর বলছেন, তিনি নিজে লিঙ্গরাজুর চিকিৎসা করেছেন কিন্তু এই ঘটনার কোন যৌক্তিক বিবরণ তিনি দিতে পারেননি।

লিঙ্গরাজু বিষাক্ত সাপের বিষে কী ভাবে এখনও স্বাভাবিক জীবনযাপন করছেন তার বিজ্ঞানসম্মত উত্তর নেই। ‘মিরাকল’ ছাড়া এই ঘটনাকে অন্যভাবে ব্যক্ত করা যায়নি আপাতত। অর্থের অভাবে কোন ভাল চিকিৎসকের সঙ্গেও যোগাযোগ করতে পারেনি লিঙ্গরাজুর পরিবার তাই অভিশাপের আতঙ্কেই দিন অতিবাহিত করছেন তাঁরা।

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement