অভিষেক চৌধুরী, কালনা: আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে বেড়াতে বেরিয়েছিল বালক। দাদুর মন্দির দর্শন শেষ হওয়ার আগেই মায়ের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল সে। আর তাতেই বিপত্তি। মাঠ ভেবে পানাপুকুরে পা দেওয়ায় ঘটল বিপত্তি। পুকুরে ডুবে প্রাণ গেল তার। কালনার ঘটনায় রীতিমতো শোকের ছায়া।
বর্ষশেষের ছুটিতে শীতের রোদ গায়ে মেখে বেড়াতে বেরোচ্ছেন অনেকেই। ওই বালকের পরিবারও তার ব্যতিক্রম নয়। চলতি বছরের শেষ রবিবার সকলে মিলে বেড়াতে গিয়েছিলেন তাঁরা। গন্তব্য কালনার ভবা পাগলার বাড়ি দর্শন। দাদুর হাত ধরেই ঘুরছিল পরিবারের খুদে সদস্য বছর আটের প্রহ্লাদ মণ্ডল। দাদু মন্দির দর্শন করছিলেন। তবে বালকের মা মন্দির থেকে বেরিয়ে যান।
[আরও পড়ুন: কাছের মানুষকে খোলামেলা ছবি পাঠাচ্ছেন? সতর্ক করল রাজ্য পুলিশ]
মায়ের কাছে যাওয়ার জন্য উতলা হয়ে ওঠে সে। মন্দির থেকে একা একাই বেরিয়ে পড়ে প্রহ্লাদ। দাদুর বারণ না শুনে কার্যত উদভ্রান্তের মতো মায়ের খোঁজে এগোতে থাকে সে। মাঠ ভেবে পা দিয়ে ফেলে পানাপুকুরে। তাতে তলিয়ে যায় সে। এদিকে, দীর্ঘক্ষণ কেটে গেলেও বালকের খোঁজ না মেলায় উদ্বিগ্ন হয়ে যান প্রায় সকলে। শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। বালকটি যে পুকুরে তলিয়ে যেতে পারে, তা ভাবেনি কেউই। তাই মন্দির লাগোয়া বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর শুরু হয়। তাতেও লাভ হয়নি। পাওয়া যায়নি বালকটিকে।
এভাবে সন্ধে থেকে প্রায় রাত হয়ে যায়। সেই সময় পানা পুকুরে তল্লাশি চালিয়ে বালকের খোঁজ মেলে। দেহ উদ্ধার করে কালনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। চিকিৎসকরা ওই বালকটিকে মৃত বলে জানান। এই ঘটনায় মন্দির কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগে সরব বালকের পরিজনেরা। তাঁদের দাবি, মন্দির চত্বরে আলোর কোনও বন্দোবস্ত নেই। তার উপর আবার পুকুরে নেই গার্ডওয়াল। তার ফলে এই বিপত্তি ঘটেছে। অবিলম্বে গার্ডওয়ালের বন্দোবস্তের দাবি জানিয়েছে নিহত বালকের শোকস্তব্ধ পরিবার।