বাবুল হক, মালদহ: বিএসএফের গুলিতে আহত এক বাংলাদেশি পাচারকারী। ঘটনাটি ঘটে মালদহের হবিবপুর ব্লকের বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন নাঙলডাঙ্গা ও ইটাঘাঁটি গ্রামের মাঝে। আহত ওই পাচারকারীকে উদ্ধার করে প্রথমে বুলবুলচন্ডী আর এন রায় গ্রামীণ হাসপাতালে ভরতি করা হয়। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, গুলিবিদ্ধ ওই যুবকের নাম ইউসুফ আহমেদ। বছর পঁচিশের যুবকটি বাংলাদেশের গোমস্তাপুর থানার রুকুন্দিপুর গ্রামের বাসিন্দা। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবকের বাঁ পায়ে গুলি লেগেছে। বিএসএফের দাবি, বুধবার গভীর রাতে একদল পাচারকারী নাঙ্গলডাঙ্গা ও ইটাঘাঁটির মাঝের সীমান্ত দিয়ে গরু পাচারের চেষ্টা করছিল। সে সময় বিএসএফের ১৫৯ ব্যাটেলিয়নের জওয়ানরা পাচারকারীদের ধাওয়া করে। অভিযোগ, পাচারকারীদের একাংশ বিএসএফকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোঁড়ে। বিএসএফ পালটা গুলি চালায়। তাতেই ওই পাচারকারী জখম হয়। বাকিরা বাংলাদেশের দিকে পালিয়ে যায়।
[আরও পড়ুন: Coronavirus: লাগামহীন করোনা, দেশে একদিনে সংক্রমিত ১ লক্ষ ১৭ হাজার]
শুধু বুধবারই নয়। গত মাসেও একই ঘটনা ঘটে। ২২ ডিসেম্বর বিএসএফের ছোঁড়া গুলিতে এক বাংলাদেশি পাচারকারীর মৃত্যু হয়। কোচবিহারের সিতাইয়ে বিএসএফের গুলিতে চার পাচারকারীর মৃত্যু হয়। গরু পাচার রুখতে গুলি চালানো হয় বলেই দাবি সীমান্তরক্ষী বাহিনীর। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার মালদহে গুলিবিদ্ধ বাংলাদেশি পাচারকারী।
গত ২১ অক্টোবর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে বিএসএফের এক্তিয়ার বৃদ্ধি হয়। বিএসএফের এক্তিয়ার ১৫ কিলোমিটার থেকে বেড়ে সীমান্ত লাগোয়া একাধিক রাজ্যে ৫০ কিলোমিটার করা হয়। তা নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি। সেই বিতর্কের রেশ কাটতে না কাটতেই একের পর এক পাচারকারীকে লক্ষ্য করে গুলি চলার ঘটনায় বাড়ছে উদ্বেগ।