সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে সোজা কুমিরের খপ্পরে। কুমিরের সঙ্গী রীতিমতো লড়াই করে প্রাণে বেঁচে ফিরলেন এক মৎস্যজীবী। আপাতত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। ঘটনাস্থল দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমা ব্লকের রাক্ষসখালি।
জানা গিয়েছে, আহত মৎস্যজীবীর নাম তাপস দাস। রবিবার বৃষ্টি উপেক্ষা করেই চাঁদপাতা ঘাট থেকে পশ্চিম স্লুইস গেটের কাছে জগদ্দল নদীতে জাল ফেলে মাছ ধরছিলেন। আচমকা টের পান পায়ে কিছু একটা কামড়ে ধরেছে। মুহূর্তে তাঁকে নদীতে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে দৈত্যাকার কুমির। আত্মরক্ষায় কুমিরের সঙ্গে একপ্রকার লড়াইয়ের পাশাপাশি আতঙ্কে আর্তনাদ করতে থাকেন তাপস। শব্দ পেয়েই আসেপাশের মৎস্যজীবীরা এসে জাল ফেলে কুমিরটিকে বন্দি করে ফেলে। বিপদ বুঝে আহত মৎস্যজীবীকে ছেড়ে কুমিরটি জাল কেটে পালিয়ে যায়।
তড়িঘড়ি রক্তাক্ত অবস্থায় ওই মৎস্যজীবীকে নদী থেকে উদ্ধার করে পাথরপ্রতিমা মাধবনগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে রাতে তাঁকে কাকদ্বীপ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসা চলছে ওই মৎস্যজীবীর। কুমিরের সঙ্গে লড়াই করে প্রাণে বেঁচে ফিরতে পারবেন, তা ভাবতেই পারেননি তাপস। প্রসঙ্গত, সুন্দরবন ও সংলগ্ন এলাকায় জলে কুমির আর ডাঙায় বাঘ আতঙ্ক দিনভর। তা সত্ত্বেও ঝুঁকি নিয়েই নিয়মিত মৎস্যজীবীরা মাছ, কাঁকড়া ধরতে যান। বিপদের মুখেও পড়তে হয়।