দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: পেটের দায়ে জঙ্গলে যাওয়াই কাল। সুন্দরবনের ঝিলার জঙ্গলে আবারও বিপদ। বাঘের হামলায় ফের জখম এক মৎস্যজীবী। যদিও বাঘের সঙ্গে লড়াই করে তাঁকে জঙ্গল থেকে ফিরিয়ে আনেন সঙ্গীরা। জখম ব্যক্তি স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। জঙ্গলে যাওয়ার জন্য তাঁর কাছে বৈধ কাগজপত্র ছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, আহত সনাতন মণ্ডল, সুন্দরবনের গোসাবা ব্লকের লাহারিপুর এলাকার বাসিন্দা। শুক্রবার দুই সঙ্গীকে নিয়ে সনাতন সুন্দরবনের ঝিলার জঙ্গলে গিয়েছিলেন। কাঁকড়া ধরতে ব্যস্ত ছিলেন তাঁরা। ঠিক সেই সময় যে দূরে জঙ্গলের আড়ালে বিপদ ওঁত পেতে বসে রয়েছে, তা টেরও পাননি সনাতন। কিছু বুঝে ওঠার আগে আচমকাই বাঘ তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। বাঘের হামলায় গুরুতর জখম হন তিনি। ঘাড়ের কাছে তৈরি হয়েছে গভীর ক্ষত। তবে দুই সঙ্গী রীতিমতো লড়াই করে তাঁকে বাঘের মুখ থেকে ফিরিয়ে আনেন। আপাতত স্থানীয় হাসপাতালেই চলছে তাঁর চিকিৎসা।
[আরও পড়ুন: বিদেশে মুদ্রা লেনদেন নিয়ে সিবিআইয়ের নোটিস, জবাব দিতে সময় চাইলেন অনুব্রতকন্যা]
উল্লেখ্য, একের পর এক বাঘের হামলার ঘটনা যেন লেগেই রয়েছে। এর আগে গত ২৫ আগস্ট বাঘের হামলার শিকার হন দুর্গাপদ বরকন্দাজ নামে আরেক মৎস্যজীবী। সুন্দরবনের মরিচঝাঁপি জঙ্গলের গাঁড়াল নদীতে কাঁকড়া ধরতে গিয়েছিলেন তিনি। তার ঠিক আগের সপ্তাহে সুন্দরবনের ঝিলার জঙ্গলে প্রায় একই ঘটনা ঘটে। কাঁকড়া ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান গোসাবা ব্লকের সুন্দরবন উপকূল থানার লাহিড়িপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চরঘেরির মৎস্যজীবী শিবপদ সরকার। বছর পঞ্চান্নর ওই মৎস্যজীবীও পেটের দায়ে কাঁকড়া ধরতে গিয়েছিলেন। আর তাতেই ঘটে বিপত্তি।
বাঘের হামলায় মৎস্যজীবীর জখম হওয়ার ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগে স্থানীয়রা। জখম মৎস্যজীবী সনাতন মণ্ডল নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জঙ্গলে ঢুকেছিলেন নাকি তাঁর কাছে বৈধ কাগজপত্র ছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।