অর্ণব আইচ: সূর্যপ্রণাম করতে গিয়ে বিপত্তি। দোতলার ছাদ থেকে নীচে পড়ে প্রাণ গেল নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর। ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে এসএসকেএম হাসপাতালে (SSKM Hospital) নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা জানান মৃত্যু হয়েছে তাঁর। নাবালিকার দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। তবে দুর্ঘটনায় প্রাণহানি বলেই প্রাথমিকভাবে অনুমান পুলিশের।
গুঞ্জন আগরওয়াল নামে বছর চোদ্দোর ওই নাবালিকা হরিদেবপুরের (Haridevpur) বাসিন্দা। হাওড়ার অগ্রসেন বালিকা শিক্ষাসদনের নবম শ্রেণির পড়ুয়া সে। পরিবার সূত্রে খবর, প্রতিদিনই সূর্যপ্রণাম করাই তার অভ্যাস। তাই দোতলার ছাদে যেত সে। উপর থেকে নীচে থাকা কয়েকটি গাছে ঘটি করে জলও দিত গুঞ্জন। সেই মতো সোমবার সকালেও ছাদে যায় সে। তবে দীর্ঘক্ষণ নীচে না নামায় সন্দেহ হয় গুঞ্জনের মায়ের। ছাদে উঠে যান তিনি। তবে সেখানে মেয়ে দেখতে পাননি। নীচে দিকে তাকিয়ে অবাক হয়ে যান গুঞ্জনের মা। দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে মেয়ে। চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন। প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে উদ্ধার করে। এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় গুঞ্জনকে। তবে চিকিৎসকরা জানান প্রাণহানি হয়েছে তার।
[আরও পড়ুন: বিধানসভায় হাজির থেকেও সর্বদল বৈঠক এড়ালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু, বাড়ছে জল্পনা]
ছাদে মাত্র দেড় ফুটের পাঁচিল দেওয়া ছিল। তাই ছাদে সূর্যপ্রণাম করতে গিয়ে গুঞ্জন নীচে পড়ে যায় বলেই মনে করা হচ্ছে। ছাত্রীর দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। তবে দুর্ঘটনা ছাড়া অন্য কোনও কারণে নাবালিকার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছেন না তদন্তকারীরা। যদিও নিশ্চিত হওয়ার জন্য ময়নাতদন্ত রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছেন তাঁরা। এদিকে, প্রাণচঞ্চল গুঞ্জনের মৃত্যুতে চোখের জলে ভাসছেন পরিজনেরা। মন ভাল নেই প্রতিবেশীদেরও।