শুভদীপ রায়নন্দী, শিলিগুড়ি: করোনা (Coronavirus) বাংলায় থাবা বসানোর পর থেকেই আয় বন্ধ হয়েছিল পেশায় হকার রাজার। ফলে চূড়ান্ত অভাবের মধ্যে দিয়েই দিন কাটছিল তাঁর। সংসার চালানো কার্যত দায় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। অবসাদে ভুগতে শুরু করেছিলেন। সেই কারণেই আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। সোমবার স্টেশনে দাঁড়িয়েই গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তবে কোনওক্রমে প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের কথায়, সোমবার সকালে চা বিক্রির নানান সরঞ্জাম নিয়ে স্টেশন চত্বরে পৌঁছন রাজা। স্টেশনে দাঁড়িয়েই বিড়ি ধরান। এরপর আচমকা তেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন গায়ে৷ দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে ওঠে। এমতাবস্থায় এক গাড়ি চালক ত্রিপলে হকারকে চেপে ধরায় আগুন আয়ত্তে আসে। কোনক্রমে প্রাণে বাঁচেন ওই ব্যক্তি। স্টেশনে উপস্থিত মহম্মদ আইজুল বলেন, "আচমকাই নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন রাজা৷ আগুন নেভানোর কোনও কিছুই আমাদের হাতের সামনে ছিল না। এমন সময় এক চালক বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়ে আগুন নেভায়।" তাঁর কথায়, অভাবের তাড়নায় রাজা গায়ে আগুন ধরিয়ে ছিল। গুরুতর অসু্স্থ অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
[আরও পড়ুন:রাজ্যে ‘ওপেন বুক এক্সামে’ সিলমোহর, বাড়িতে বসে বই দেখেই পরীক্ষা কলেজ পড়ুয়াদের]
করোনার কারণে চলতি বছরের মার্চ (March) থেকে বন্ধ ট্রেন। ফলে ব্যবসা বন্ধ হকারদের। পরবর্তীতে স্পেশ্যাল ট্রেন চললেও সুরক্ষার খাতিয়ে স্টেশনে হকারদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এতে চরম অর্থ সংকটে হকাররা।