shono
Advertisement

জলপথে বড়সড় জঙ্গি হামলার আশঙ্কা, দক্ষিণ ভারতে জারি হল সতর্কতা

গুজরাতের কচ্ছ অঞ্চলে সমুদ্রপথে পাক জঙ্গিরা ইতিমধ্যেই ঢুকে পড়েছে।
Posted: 09:22 AM Sep 10, 2019Updated: 09:22 AM Sep 10, 2019

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক:  ফের ভারতে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা। এবার জলপথে পাক জঙ্গিদের হামলার সম্ভাবনা নিয়ে সতর্কতা জারি করল সরকার। তবে, জঙ্গিদের নিশানায় এবার দক্ষিণ ভারত। গুজরাতের স্যর ক্রিকের কাছে কয়েকটি পরিত্যক্ত নৌকা মিলেছে। আশঙ্কা, পাক জঙ্গিরা সেই পথেই দক্ষিণ ভারতে হানা দিতে পারে।  

Advertisement

সেনা সূত্রে খবর, গুজরাতের স্যর ক্রিকের কাছে কয়েকটি পরিত্যক্ত নৌকা দেখতে পাওয়ায় মনে করা হচ্ছে, পাক জঙ্গিদের নিশানায় রয়েছে দক্ষিণ ভারত। সোমবার পুণের একটি অনুষ্ঠানে সেনার সাদার্ন কমান্ডের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস কে সাইনি বলেছিলেন, “দক্ষিণ ভারতে সন্ত্রাসবাদী হামলা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন গোয়েন্দারা।” কয়েকটি পরিত্যক্ত নৌকাকে কেন্দ্র করেই সেই সন্দেহ আরও জোরালো হচ্ছে বলেও জানান তিনি। তবে হামলা প্রতিরোধে ইতিমধ্যেই যাবতীয় সতর্কতা নেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন সাইনি। তাই এখনও অবধি আঘাত হানতে পারেনি জঙ্গিরা।

[আরও পড়ুন: ক্যারি ব্যাগের জন্য অতিরিক্ত মূল্য! বাটার পর জরিমানা বিগ বাজারকেও]

সম্প্রতি কাশ্মীরে ৩৭০ ধারার অবলুপ্তি ঘটার পর থেকেই যে ইন্দো-পাকিস্তান সম্পর্কের আরও অবনতি হয়েছে, তা বোধহয় আলাদা করে উল্লেখ নিষ্প্রয়োজন। গোয়েন্দা সূত্রে খবর মিলেছে, জলের নিচ দিয়ে হামলা চালানোর জন্য জইশ জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। বেসরকারি সংস্থা আদানি পোর্ট অ্যান্ড লজিস্টিকসের তরফেও সম্প্রতি একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কচ্ছ অঞ্চলে সমুদ্রপথে পাক জঙ্গিরা ইতিমধ্যেই ঢুকে পড়েছে। ফলে গুজরাতের বন্দরে হামলার আশঙ্কা কিন্তু মোটেই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এছাড়া, গোয়েন্দাদের তরফে বিশেষভাবে সতর্ক কার হয় দক্ষিণের দুই রাজ্যকে। গোয়েন্দাসূত্রে খবর, সম্প্রতি তামিলনাড়ু ও কেরলে জইশ জঙ্গিদের একটি দল ঢুকে পড়েছে।

[আরও পড়ুন: কাশ্মীরের সেনা ক্যাম্পে হামলার ছক, সোপিয়ান দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা লস্কর জঙ্গিদের]

সূত্রের খবর, কাশ্মীরে বিশেষ সুবিধে করে উঠতে না পেরে এবার তাই জলপথে জেহাদি হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিয়েছে পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। এছাড়া পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি গোষ্ঠী জইশ-ই-মহম্মদের প্রায় ৫০ জঙ্গিকে ভারতের জল সীমানায় ঢুকে নৌবহর বা নৌ-ঘাঁটিতে হামলা চালানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। পাক নৌবাহিনীর কম্যান্ডোরা ওই জঙ্গিদের প্রশিক্ষণের দায়িত্বে থাকায়, বড় মাপের হামলার আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছেন না গোয়েন্দারা। পুলওয়ামার ঘটনার পরেই আরব সাগরে বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ আইএনএস বিক্রমাদিত্য, পরমাণু সাবমেরিন চক্র, ৬০টি জাহাজ ও ৮০টি বিমানকে যে কোনও সময়ে হামলার জন্য প্রস্তুত করে রাখা হয়েছিল। এই বারও তাই হয়েছে। গোয়েন্দা সূত্র আরও দাবি করেছে, আন্তর্জাতিক জল সীমানা থেকে ডুবুরির পোশাক পরে ওই জঙ্গিরা জলের তলা দিয়ে সাঁতরে এসে সরাসরি আত্মঘাতী হামলা করতে পারে ভারতীয় নৌসেনার জাহাজে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup রাজধানী এক্সপ্রেস toolbarvideo ISL10 toolbarshorts রোববার