সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খাস কলকাতায় উদ্ধার গৃহবধূর (Housewife) রক্তাক্ত দেহ। সন্তানের অসুস্থতায় বিয়েবাড়ি যেতে বাধা। তার ফলে দাম্পত্য অশান্তি তৈরি হয়। মনোমালিন্যের জেরে ওই মহিলা আত্মঘাতী হয়েছেন বলেই দাবি পরিবারের। যদিও এই ঘটনার পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, ২০১৯ সালে রাজকুমার গুপ্ত নামে এক যুবকের সঙ্গে খুশবু কুমারী নামে ওই তরুণীর বিয়ে হয়। ওই দম্পতির মাসতিনেকের একটি সন্তানও রয়েছে। ব্রঙ্কাইটিসে ভুগছে দুধের সন্তান। তাই সে ভরতি রয়েছে হাসপাতালে। এদিকে, আগামী ৭ ডিসেম্বরই খুশবু কুমারীর বোনের বিয়ে। লখনউতে রয়েছে অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার খুব ইচ্ছা ছিল খুশবুর। তবে সন্তান অসুস্থ হওয়ায় সেখানে যেতে রাজি হননি খুশবুর স্বামী রাজকুমার। তিনি ক্যাটারিং ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। বোনের বিয়েতে যেতে না পারা নিয়ে দিনকয়েক ধরেই মনমরা ছিল খুশবু। স্বামীর সঙ্গে ঝগড়াঝাটিও হয় তাঁর।
[আরও পড়ুন: শিশিরেও ভরসা নেই? তড়িঘড়ি পূর্ব মেদিনীপুরে সংগঠনে রদবদল করল তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব]
শুক্রবার জামশেদপুরের ক্যাটারিংয়ের কাজ ছিল রাজকুমারের। সে কারণে কাকভোরে খুশবুর স্বামী রাজকুমার বাড়ি থেকে বেরোয়। সেখানে যাওয়ার জন্য ভোরবেলা বেরিয়ে হাওড়া স্টেশনে যান তিনি। সেই সময় খুশবুও উঠে পড়েন। স্বামী বেরনোর পর চারতলার ছাদে চলে যান তিনি। শ্বশুরের দাবি, খুশবুকে যেতে দেখেছিলেন তিনি। বেশ কিছুটা সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও খুশবু ছাদ থেকে না নামায় দুশ্চিন্তা করতে থাকেন তাঁর শ্বশুর। ডাকাডাকি করেও গৃহবধূর সাড়াশব্দ পাননি তিনি। ঠিক সেই সময় কিছু পড়ে যাওয়ার শব্দ পান খুশবুর বৃদ্ধ শ্বশুর। তিনি দেখেন বহুতলের ছাদ থেকে নীচের দিকে নজর যেতেই চমকে ওঠেন। দেখেন রক্তে ভেসে যাচ্ছেন খুশবু। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে কসবা (Kasba) থানার পুলিশ পৌঁছয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে জানান। নিছক আত্মহত্যা নাকি খুশবুর মৃত্যুর নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।