সুব্রত বিশ্বাস: বেআব্রু ট্রেনে মহিলাদের নিরাপত্তা! বুধবার রাতে হাওড়াগামী সরাইঘাট এক্সপ্রেসে এক মহিলার শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় কাঠগড়ায় সিআইএসএফের জওয়ানরা। ইতিমধ্যে একজনকে আটক করেছে জিআরপি। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
আনলক পর্যায়ে ট্রেনে মহিলা যাত্রীদের নিরাপত্তার অভাবের অভিযোগ উঠছে বারবার। এবার হাতেনাতে তার প্রমাণ মিলল। বুধবার রাতে হাওড়াগামী সরাইঘাট এক্সপ্রসের এস-৭ কামরার যাত্রী ছিলেন কলকাতার দু’টি পরিবার। অভিযোগ, সেই পরিবারের মহিলাদের শ্লীলতাহানি করে সিআইএসএফের জওয়ানরা। মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে মালদহ জিআরপি এক জওয়ানকে আটকও করেছে। উল্লেখ্য, এনজেপি থেকে কলকাতার ট্রেনে ওঠে দু’টি পরিবারের সদস্যরা। সেই কামরায় ছিল সিআইএসএফ জওয়ানরা। অভিযোগ, ট্রেনের মধ্যেই তারা মদ খাচ্ছিলেন। পরে তারা মহিলাদের শ্লীলতাহানি করে বলে মালদহ জিআরপিতে অভিযোগ দায়ের করা হয়।
[আরও পড়ুন : নিত্য অশান্তির জের, স্বামীকে খুন করে থানায় আত্মসমর্পণ করল স্ত্রী]
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে রামপুরহাটের কাছে চলন্ত ট্রেনে এক মহিলা চিকিৎসকের শ্লীলতাহানি করে বলে কলকাতা পুলিশের এক কনস্টেবলের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। সাঁইথিয়া রেল পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারও করেছিল। বারবার একই ঘটনার প্রেক্ষিতে আতঙ্কিত মহিলা যাত্রীরা। নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগ তুলেছেন যাত্রীরা।
রেল পুলিশের আইজি বাসব দাশগুপ্ত বলেন, “এসআরপিকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি খতিয়ে দেখবেন কী হয়েছে। কী ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ।” আরপিএফ সূত্রের খবর, নিরাপত্তায় গাফিলতির অভাব থাকতে পারে। মালদহ, রামপুরহাট এই সব অঞ্চল কলকাতার থেকে দূরে হওয়ায় আধিকারিকদের নজরের আড়ালে থেকে যাচ্ছে সুরক্ষা ব্যবস্থার উদাসীনতা। ট্রেনের মধ্যে মাদক সেবনের প্রবণতাই এই সব ঘটনার পিছনে রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। দু’টি ঘটনাতেই পুলিশ এবং সিআইএসএফ কর্মী মাদকাসক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ।