দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: পারিবারিক বিবাদের জের নাকি অন্য কিছু? প্রকাশ্য দিবালোকে এলোপাথাড়ি ছুরির কোপে বন্ধুর হাতে খুন যুবক। খুনের পর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ অভিযুক্তের। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরের দুর্গাপুরের ঘটনায় চাঞ্চল্য।
নিহত দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা হজরত গাজি। তার বন্ধু শহিদুল গাজির সঙ্গে বেশ কয়েকদিন ধরেই গণ্ডগোল চলছিল। সোমবার সকালে জয়নগর পেট্রল পাম্পের কাছে একটি চায়ের দোকানে বসেছিলেন হজরত। কাজে যাওয়ার আগে সেখানে বসেই চা খাচ্ছিলেন তিনি। অভিযোগ, ঠিক সেই সময় ধারালো ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়ি হজরতকে কোপায় শহিদুল। রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন হজরত।
[আরও পড়ুন: সূত্র একটি পেন ড্রাইভ, ভারতীয় আল কায়েদার নতুন মডিউলের সন্ধানে নামল এসটিএফ]
এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়। এরপর অভিযুক্ত শহিদুল গাজি রক্তমাখা ছুরি হাতে জয়নগর থানায় যায়। খুনের কথা স্বীকার করে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে সে। পুলিশ তড়িঘড়ি তাকে আক্রমণ করে। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। নিহতের দেহে একাধিক ক্ষতচিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, পারিবারিক অশান্তির কারণে এই খুনের ঘটনা ঘটেছে। তবে কী নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে পারিবারিক অশান্তি হয়েছিল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
উল্লেখ্য, এই পেট্রল পাম্পের কাছেই বছর পাঁচেক আগে জয়নগরের বিধায়ক বিশ্বনাথ দাসের উপর হামলা হয়। বিধায়কের গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়া হয়। সেই ঘটনায় নিহত হয় চার যুবক। তবে ভাগ্যের জোরে প্রাণে বেঁচে যান বিধায়ক। আর সেই পেট্রল পাম্পের কাছেই সোমবার ফের ঘটল খুনের ঘটনা। পরপর খুনের ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কিত স্থানীয়রা। নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।