সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাথার চুল কেটে, গলায় মালা পরে মন্দিরে আত্মগোপনের চেষ্টা করেছিল অভিযুক্ত। তাতেও লাভ কিছুই হল না৷ পরিবর্তে স্ত্রীকে খুনের চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশের জালে ধরা পড়ল অভিযুক্ত স্বামী৷ বেহালার ভাটিখানার এক মন্দির থেকে গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্ত বাপি বৈদ্যকে৷
[আরও পড়ুন: ব্যান্ড বাজিয়ে জনসংযোগ কলকাতা পুলিশের, নয়া উদ্যোগ লালবাজারের]
প্রায় বছর চারেক নরেন্দ্রপুরের কুসুমবায় ভাড়া বাড়িতে থাকত বাপি বৈদ্য এবং তার স্ত্রী কৃষ্ণা৷ প্রতিবেশীদের দাবি, প্রতিদিনই প্রায় ঝগড়াঝাটি করত তারা৷ সম্প্রতি বাপি বৈদ্যের গাড়ি খারাপ হয়ে যায়৷ গাড়ি সারাইয়ের কাজের জন্য প্রায় মাসখানেক বাড়ি থেকে বেরোয়নি সে৷ সেই সময় আরও বাড়ে অশান্তি৷ পুলিশসূত্রে খবর, বিভিন্ন বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করে প্রায় লাখখানেক টাকা ব্যাংকে জমিয়েছিলেন কৃষ্ণা৷ সেই টাকা হাতানোর চেষ্টা করছিল বাপি৷ কিন্তু কৃষ্ণা সেই টাকা দিতে নারাজ তার স্ত্রী৷ এ কারণে প্রায়শই মদ্যপ অবস্থায় স্ত্রীকে মারধর করত বাপি৷ শুক্রবার সন্ধেয় বিবাদ চরমে পৌঁছয়৷ অভিযোগ, সেইসময়ই দা দিয়ে স্ত্রীর গলায় কোপ মারে বাপি। দু’খণ্ড হয়ে যায় কৃষ্ণার দেহ। এরপর সেই দেহ বিছানায় ঢাকা দিয়ে চম্পট দেয় বাপি বৈদ্য। কৃষ্ণার মেয়ে তাঁর নিথর দেহটি প্রথমে দেখেন৷ এরপরই খুনের কথা জানাজানি হয়৷
[আরও পড়ুন: দুর্গোৎসবে কেন করের বোঝা? কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় ধরনায় তৃণমূল]
তদন্তে নেমে কৃষ্ণার স্বামী বাপির খোঁজ শুরু করে পুলিশ৷ তার মোবাইল নম্বরের লোকেশন ট্র্যাক করে পুলিশ বেহালার ভাটিখানার সন্ধান পান৷ সেখানে হানা দেয় পুলিশ৷ মাথার চুল কেটে, গলায় মালা পরে সাধুর বেশেই সেখানে গা ঢাকা দিয়েছিল সে৷ তবে পুলিশ নানা সূত্র কাজে লাগিয়ে বাপিকে গ্রেপ্তার করে৷ পুলিশ সূত্রে খবর, ওই এলাকায় বাপি বৈদ্যের প্রথম পক্ষের স্ত্রী বুলা থাকে। যদিও বুলার মা ও স্থানীয়দের দাবি, ১৪ বছর আগেই বাপি বুলাকে ছেড়ে চলে যায়। তারপরই কৃষ্ণাকে বিয়ে করে নরেন্দ্রপুরের কুসুমবায় থাকতে শুরু করে৷ প্রথম পক্ষের স্ত্রীর সঙ্গে এখন আর সম্পর্ক নেই বাপির৷ শুধুমাত্র আর্থিক বিবাদ নাকি সম্পর্কের টানাপোড়েনেই খুন হতে হল কৃষ্ণাকে, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা৷
The post সাধু সেজে গা ঢাকা দেওয়ার চেষ্টা, স্ত্রীকে খুনে মন্দির থেকে গ্রেপ্তার অভিযুক্ত appeared first on Sangbad Pratidin.