সুব্রত বিশ্বাস: বারবার একই অমানবিক ঘটনার সাক্ষী রেল। বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবারও ট্রেনের ধাক্কায় জখম ব্যক্তি দীর্ঘক্ষণ পড়ে রইলেন স্টেশনের কিছু দূরে। এদিন ঘটনাটি ঘটে বরানগর স্টেশনের (Baranagar Station) কিছুটা দূরে। বেলুড় জিআরপি খবর পেয়ে জখম ব্যক্তিকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। তাঁর অবস্থা যথেষ্ট আশঙ্কাজনক বলেই জানা গিয়েছে।
শুক্রবার সকালে রেললাইন ধরে যাচ্ছিলেন এক ব্যক্তি। বরানগর স্টেশনের কাছে তাঁর ট্রেনে ধাক্কা লাগে। ছিটকে গিয়ে বেশ কিছুটা দূরে পড়ে যান। তাঁকে উদ্ধার করতে বেশ বেগ পেতে হয় পুলিশকে। আহত অবস্থায় ওই ব্যক্তি দীর্ঘক্ষণ স্টেশনে পড়েছিলেন। রেল পুলিশ জানিয়েছে, স্টেশন কর্তৃপক্ষ খবর দেওয়ার পরই আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়। চোটাঘাত বেশি থাকায় তাঁকে পাঠানো হয় হাসপাতালে। স্টেশন কর্তৃপক্ষ দেরিতে খবর পাঠানোয় দীর্ঘক্ষণ ওই জখম যাত্রীকে বিনা চিকিৎসায় পড়ে থাকতে বলেই দাবি।
[আরও পড়ুন: Coronavirus: লাগামহীন করোনা, দেশে একদিনে সংক্রমিত ১ লক্ষ ১৭ হাজার]
সাধারণত, ট্রেনে কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে পরবর্তী স্টেশনে খবর দেয় চালক ও গার্ড। সেইমতো রেল পুলিশকে মেমো দেয় স্টেশন কর্তৃপক্ষ। রেলের অপারেশন বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, খবর পাওয়া ও মেমো করতে যতটুকু দেরি হয়, ততটুকুই সময় লাগার কথা। লিখিত বিবৃতি ছাড়া মোবাইলে আপদকালীন খবর দেওয়ার রীতি যথাযথ কার্যকর হোক বলে দাবিও উঠেছে। বেশ কিছুক্ষণ পর যদিও তাঁকে উদ্ধার করে সাগর দত্ত হাসপাতালে পাঠানো হয়। আহত ব্যক্তির পরিচয় পাওয়া যায়নি।
বৃহস্পতিবারও একই ঘটনা ঘটে। এদিন সকালে সোদপুর স্টেশনে (Sodepur Station) রেললাইনেই মৃত্যু হয় পুরোহিত উৎপল চক্রবর্তীর। ৮ নম্বর রেলগেট পেরনোর সময় শান্তিপুর লোকালের ধাক্কায় ছিটকে পড়লেন তিনি। তখনও শরীরে প্রাণ ছিল। হয়তো বা প্রাণে বেঁচেও যেতেন। কিন্তু স্থানীয়দের অভিযোগ, সময়মতো পৌঁছয়নি রেল পুলিশ। আর রেলের এলাকা হওয়ায় গুরুতর জখম ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালেও নিয়ে যেতে পারেনি খড়দহ থানার পুলিশও। রেললাইনে প্রায় ১ ঘণ্টা পড়েছিলেন। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। রেল পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন স্থানীয়রা। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে ফের একই ঘটনার সাক্ষী বরানগর স্টেশন লাগোয়া এলাকার বাসিন্দারা।