ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: মাঝ ডিসেম্বরেও ডেঙ্গুর করাল থাবা। মশাবাহিত রোগে প্রাণ গেল ডাক্তারি পড়ুয়ার। বারাসতের বেসরকারি হাসপাতালে বেশ কয়েকদিন ভর্তি থাকার পর মৃত্যু হল তাঁর। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ ডেথ সার্টিফিকেটে ওই যুবকের মৃত্যুর কারণ হিসাবে ডেঙ্গু শক সিনড্রোমের কথা উল্লেখ করেছে।
মৃত বছর একুশের পৃথ্বীরাজ দাস বারাসতের রথতলার বাসিন্দা। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া। দিনকয়েক ধরে জ্বরে ভুগছিলেন। বারাসতের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। বৃহস্পতিবার রাতে ওই বেসরকারি হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তাঁর। ডেথ সার্টিফিকেটে মৃত্যুর কারণ হিসাবে ডেঙ্গু শক সিনড্রোমের কথা উল্লেখ রয়েছে বলেই খবর।
[আরও পড়ুন: নিজের বাড়িতে সিঁধ কেটেছিলেন ‘ডাকাত’ বউ! আগরপাড়া ডাকাতিতে প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য]
উল্লেখ্য, স্বাস্থ্যভবনের তরফে মনে করা হচ্ছে, ডেঙ্গু (Dengue) রোগীকে অহেতুক, অপ্রয়োজনে প্লেটলেট দেওয়ার জেরে অসংখ্য রোগীর প্রাণসংশয় হচ্ছে রোজ। এঁদের একটা বড় অংশ ফুসফুসে জল জমে, হার্ট ফেলিওর হয়ে মারাও যাচ্ছেন। এমন ঘটনা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বেসরকারি হাসপাতালে ঘটছে বলেই মনে করা হচ্ছে। স্বাস্থ্যভবনের হিসাব বলছে, ডেঙ্গু আক্রান্তের মৃত্যু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ঘটছে বেসরকারি হাসপাতালে।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, ডেঙ্গু রোগীর ক্ষেত্রে অত্যন্ত স্বাভাবিক ঘটনা শরীরের জলশূন্যতা। রক্তে কমে যায় অণুচক্রিকা বা প্লেটলেট (Platelate)।
আবার রক্তবাহিকা থেকে রক্তরস বা প্লাজমা লিক করে বেরিয়ে যাওয়ার ফলে রক্ত ঘন হয়ে ওঠে। সবক’টি ক্ষেত্রেই আইভি ফ্লুইড (স্যালাইন) চলার কথা। কিন্তু ঠিক কোন সময়ে কতটা স্যালাইন দিতে হবে, আর কখন দেওয়া হবে প্লেটলেট, তা নিয়ে সরকারি নির্দেশিকা থাকলেও অনেক বেসরকারি হাসপাতালে সেটা ঠিকমতো মানা হচ্ছে না বলে আক্ষেপ করেছেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা।