শাহাজাদ হোসেন, ফরাক্কা: একদিন নিখোঁজ থাকার পর গঙ্গায় মিলল চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রের দেহ। পরিবারের অভিযোগ, তিন নাবালক বন্ধু খুন করেছে ওই খুদে পড়ুয়াকে। ইতিমধ্যেই তাদের বিরুদ্ধে ফরাক্কা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে মৃতের পরিবার। ঘটনার তদন্তে নেমেছে ফরাক্কা থানা।
মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ফরাক্কার ভবানীপুরের বাসিন্দা মনিরুল মোমিন। তাঁর সন্তান বছর দশেকের রমজান মোমিন। স্থানীয় এিগুণাময়ী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র সে। বৃহস্পতিবার আচমকাই উধাও হয়ে যায় রমজান। সারাদিন খুঁজেও কোথাও ছেলের হদিশ পাননি মনিরুল। এরপর প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে তিনি জানতে পারেন, বছর তেরোর ফিরদৌস মোমিন, বছর বারোর জসিম ও বছর ১৪-এর মোতাইম মোমিনের সঙ্গে শেষবার দেখা গিয়েছিল রমজানকে। মনিরুল বলেন, “আমার কাপড়ের দোকানের সিসি টিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখে জানতে পারি বৃহস্পতিবার রমজানকে ওই তিনজন গঙ্গার দিকে নিয়ে যায়।” সঙ্গে সঙ্গে ফিরদৌসদের রমজান সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তারা কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি বলেই দাবি মনিরুলের।
[আরও পড়ুন: ফের প্রকাশ্যে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, যুব মোর্চার নেতার আঘাতে মাথা ফাটল পঃ মেদিনীপুরের সভাপতির]
এরপর গ্রামের পূর্বে গঙ্গার পাড়ে মেলে রমজানের জামা। শুক্রবার বিকেলে গঙ্গায় ভেসে ওঠে ওই নিখোঁজ খুদের দেহ। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় ফরাক্কা থানায়। পুলিশ ইতিমধ্যেই দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। মৃতের বাবার অভিযোগ, পরিকল্পিতভাবে রমজানকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করে মৃতদেহ গঙ্গার জলে ফেলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখানেই উঠছে প্রশ্ন। তিন অভিযুক্তই নাবালক, তবে বন্ধুর সঙ্গে তাদের এমন কী শত্রুতা থাকতে পারে যার পরিণতি এতটা ভয়ংকর? নাকি গোটা ঘটনার পিছনে লুকিয়ে অন্য রহস্য? তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। এপ্রসঙ্গে জঙ্গিপুরের এসডিপিও প্রসেনজিৎ বন্দোপাধ্যায় জানান, “লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”