ধীমান রায়, কাটোয়া: দশমীর দিন (Durga Puja 2020) দেবীবরণ চলাকালীন গ্রামের লোকেদের সামনেই নাবালিকার মাথায় সিঁদুর দিয়ে দিয়েছিল প্রাক্তন প্রেমিক যুবক। লজ্জায় তারপর থেকে ঘর থেকে আর বের হয়নি ওই পড়ুয়া। পরে বাড়ি থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হল নাবালিকা। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষরক্ষা হয়নি। মর্মান্তিক ঘটনাটি পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রাম (Ketugram) থানার বিল্লেশ্বর গ্রামের। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত বাবুসোনা দাসকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিল্লেশ্বর গ্রামের বাসিন্দা বছর ১৭-এর ওই নাবালিকা বিল্লেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়ের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। সোমবার বিল্লেশ্বর গ্রামের দাসপাড়ায় বারোয়ারি দুর্গাপুজোর বিসর্জন ছিল। দেবীপ্রতিমাকে বরণের সময় মহিলাদের ভিড়ের মধ্যে দাড়িয়ে ছিল নাবালিকা। অভিযোগ, সেই সময় বাবুসোনা আচমকা ওই নাবালিকার সিঁথি ও মুখে সিঁদুর মাখিয়ে দেয়। ওই ঘটনায় হতচকিত হয়ে এবং লজ্জায় মেয়েটি বাড়ি চলে যায়। এরপর আর ঘর থেকে বের হয়নি সে। পরে বাড়ির দোতলা থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় নাবালিকা। সঙ্গে সঙ্গে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যু হয় মেয়েটির। এরপরই কেতুগ্রাম থানায় বাবুসোনা দাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন মৃতার দাদা। রাতেই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার ধৃতকে আদালতে তোলা হলে তাকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ক্যানসারের সঙ্গে করোনার থাবা, প্রয়াত বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার সুকুমার হাঁসদা]
কিন্তু কেন এমন কাণ্ড ঘটালো ধৃত? জানা গিয়েছে বছর পাঁচেক আগে অভিযুক্ত বাবুসোনার সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্ক জড়িয়ে পড়ে ওই নাবালিকা। বাড়ির লোকেরা বোঝালে সম্পর্ক থেকে সরেও আসে সে। মৃতার দাদার কথায়, “প্রায় ৪ বছর আগেই আমার বোন বাবুসোনার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে দেয়। তবে মাঝেমধ্যে ওই যুবক বোনকে উত্যক্ত করার চেষ্টা করত। আমরা নজর রাখায় বেশি বাড়াবাড়ি করতে পারেনি। কিন্তু হঠাৎ করে এই ঘটনা ঘটিয়ে দেবে ভাবতে পারিনি।”