স্টাফ রিপোর্টার: প্রোমোটিং ঘিরে বিবাদ। তারই জেরে এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর পেটে লাথি মারার অভিযোগ। অভিযোগের আঙুল উঠেছে প্রোমোটারের লোকেদের দিকে। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় কিরণ দেবী নামে আট মাসের ওই অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভরতি করা হয়। সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছে। ওই গৃহবধূর স্বামী দীপক দাসকেও ব্যাপক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তাঁকেও হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করাতে হয়। রবিবার পূর্ব কলকাতার নারকেলডাঙা এলাকায় ঘটেছে এই ঘটনাটি।
পুলিশের এক কর্তা জানান, লিখিত অভিযোগ দায়ের হলে তদন্ত হবে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নারকেলডাঙায় শরিকের সঙ্গে থাকে শিবশংকর দাসের পরিবার। তাঁর দাবি, চারজনের মধ্যে একজন ছাড়া বাকিরা তাঁদের বাড়ি প্রোমোটারের হাতে দিতে রাজি। কিন্তু যাঁর নামে চুক্তি, তিনি ব্যক্তিগত কারণে বাড়ি থেকে চলে যান। এর মধ্যে প্রোমোটার তাঁর লোকজন নিয়ে বাড়ি তৈরির ব্যাপারে চাপ দিতে থাকেন।
[আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামে সমবায় ভোটে একচ্ছত্র জয় তৃণমূলের, গোহারা শুভেন্দু]
তিনি বিভিন্ন রাজনৈতিক মহলেও যাতায়াত করেন। কিন্তু এক শরিক না থাকার ফলে আইনি জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে বলে শিবশংকর দাস প্রোমোটিংয়ের কাজ শুরুর আগেই বাধা দেন। প্রোমোটার তাঁকে ডেকে পাঠান। কিন্তু তিনি যাননি। অভিযোগ, এদিন প্রোমোটারের লোকেরা ওই পরিবারের উপর চড়াও হয়। শিবশংকরবাবুর স্ত্রী বাধা দিতে গিয়ে আহত হন। সবার সামনেই ছেলে দীপককে প্রচণ্ড মারধর করার পর লাথি মারা হয় দীপকের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে।
স্বাভাবিকভাবে এই ঘটনায় লেগেছে রাজনীতির রং। এই ঘটনার প্রতিবাদে বেলা বারোটায় নারকেলডাঙা থানা ঘেরাওয়ের ডাক বিজেপির। যে বা যারা এই কাজের সঙ্গে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেই দাবি তৃণমূলের।