দীপঙ্কর মণ্ডল: ছাত্রীকে যৌন হেনস্তার অভিযোগে সাময়িকভাবে বিভাগীর প্রধানের পদ থেকে সরানো হল প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের (Presidency University) অভিযুক্ত অধ্যাপককে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিভাগীয় প্রধানের কোনও কাজ করতে পারবেন না তিনি। তদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে বিশ্ববিদ্যালয়।
ঘটনার সূত্রপাত চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে। স্নাতক স্তরের দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রী এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ করে। তিনি বলেন, অভিযুক্ত অধ্যাপক একাধিকবার তাঁকে যৌন হেনস্তা করে। বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য হুমকিও দেয়। বিষয়টি জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ে। গত মঙ্গলবার অভিযোগকারিনীকে নিয়ে সভা করে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ। অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ওঠা শারীরিক ও মানসিক হেনস্থার অভিযোগের ভিত্তিতে পড়ুয়ারা ডিন অব স্টুডেন্টের কাছে স্মারকলিপি জমা দেয়।
[আরও পড়ুন: একুশের মঞ্চে মমতাকে বস্তাভরতি মুড়ি এগিয়ে দিয়ে রাতারাতি ‘হিরো’ বর্ধমানের যুবক]
ছাত্র-ছাত্রীদের দাবি ছিল, অভিযুক্ত অধ্যাপককে সমস্ত প্রশাসনিক ও পঠনপাঠন সংক্রান্ত কাজ থেকে অপসারিত করতে হবে। উত্তরপত্র মূল্যায়নের দায়িত্ব থেকে অপসারিত করতে হবে। কার্যত সেই দাবিই মেনে নিল বিশ্বিবিদ্যালয়। বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব থেকে আপাতত সরানো হল অভিযুক্ত অধ্যাপককে।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে। থিসিস পেপার সংক্রান্ত বিষয়ে ছাত্রীকে নিজের বাড়িতে ডেকেছিলেন বলে অভিযোগ ছিল।