স্টাফ রিপোর্টার: মহাষ্টমীতে জন্ম। তাই নাম রাখা হয়েছিল দুর্গা। ৫৮ বছর পরের ষষ্ঠীতে মৃত্যু। এবং সপ্তমীতে অঙ্গদান। এ এক অন্য দুর্গা। মৃত্যুর পরও যিনি কয়েকজনকে বাঁচিয়ে বেঁচে রইলেন অন্যভাবে। সপ্তমীর সন্ধ্যায় যখন শহর ভাসছে আলোয়, তখন এই দুর্গা হাজার ওয়াটের হ্যালোজেন জ্বালিয়ে দিলেন কয়েকটি পরিবারে। তাঁর কিডনি, লিভার তো বটেই, চোখ, চামড়া সবই লাগল কাজে।
[পুজোয় কলকাতায় আসছেন না, জানালেন রাহুল গান্ধী]
উত্তর শহরতলির বাগুইআটির বাসিন্দা দুর্গা সাধু ভর্তি হয়েছিলেন বাইপাসের ধারে এক বেসরকারি হাসপাতালে। ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় ব্রেন ডেথ হয় তাঁর। তারপরই পরিবারের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় অঙ্গদানের। এবং সপ্তমীর রাতেই সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হল। দু’টি কিডনি পেলেন মুর্শিদাবাদের ৫৫ বছরের কাজি আবদুল আলিম এবং খড়দার রামকৃষ্ণ দাস (৫২)। লিভার দেওয়া হল মেদিনীপুরের উত্তম দ্বিবেদীকে (৫০)। চোখ দান করা হয়েছে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। যা দিয়ে পৃথিবীর আলো দেখবেন দু’জন। এসএসকেএম স্কিন ব্যাংকে দেওয়া হচ্ছে চামড়া।
[মানবিকতার নজির, পুজোর শহরে রাস্তায় মা-মেয়েকে পাহারা দিলেন ক্যাব চালক]
চলতি বছর মে মাসেই প্রথম হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপনের নজির তৈরি করে তিলোত্তমা৷ এরপর গত ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে শহরে একের হৃৎপিণ্ডে নয়া জীবন শুরু করেন আরেক রোগী৷ তার ঠিক ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই আবারও একই উদ্যোগ৷ পূর্ব ভারতে তৃতীয়বার হৃৎপিণ্ড প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷ এবার বারুইপুরের এক মহিলার হৃৎপিণ্ড ও কিডনি পান দুজন রোগী৷