সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত মাসে অসমে হওয়া নৃশংস হত্যাকাণ্ডে উঠেছিল ‘লাভ জেহাদের’অভিযোগ। এই ঘটনার কয়েক দিন পরেই প্রকাশ্যে এল লাভ জেহাদ ঠেকাতে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়ার একটি ভিডিও। যদিও এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘রাষ্ট্রীয় বজরং দল’-এর একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। আর সেখানেই দেখা গিয়েছে অসমের মঙ্গলদইয়ের একটি ক্যাম্পে ৩৫০ জন যুবককে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। শেখানো হচ্ছে মার্শাল আর্টও। অভিযোগ, তাদের লাভ জেহাদ ঠেকাতে প্রশিক্ষণ দেওয়া দিচ্ছে। ভিডিওটি প্রকাশ্যে আসতে শুরু হয়েছে বিতর্ক। বিরোধী শিবিরগুলি মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে। তারা ওই ক্যাম্পের সংগঠকদের গ্রেপ্তারির দাবি জানিয়েছে।
পুলিশ ইতিমধ্যেই এই ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে। অসমের এক ঊর্ধ্বতন পুলিশ আধিকারিক জিপি সিং টুইটারে জানিয়েছেন, ‘আইন মেনে দারাং পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
[আরও পড়ুন: ত্রিপুরা থেকে গ্রেপ্তার ৫২ জন রোহিঙ্গা, উদ্বেগ জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে]
প্রসঙ্গত, গত মাসে অসমে উত্তর-পূর্বের রাজ্যের গোলাঘাটে স্ত্রী, শ্বশুর, শাশুড়িকে খুনের পর ন’মাসের ছেলেকে নিয়ে থানায় আত্মসমর্পণ করেন নাজিবুর রহমান বোরা নামের এক যুবক। এই ঘটনার পরই জোরালো হয় লাভ জেহাদের অভিযোগ। মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মাও ওই খুনের নেপথ্যে লাভ জেহাদের অভিযোগই তোলেন। তবে সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়ে দেন, রাজ্যে হিন্দু-মুসলিমরা শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করুক এটা সব সময়ই কাম্য।
পিটিআই সূত্রে খবর, শনিবার হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানিয়েছেন, “সমস্ত সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রে আইনিভাবে বিবাহের বয়স বেঁধে দিয়ে একটি আইন আনা হবে। এই আইন দ্বারা বহুবিবাহও বন্ধ করা হবে। এমনকী কেউ যদি এই আইন লঙ্ঘন করে তাহলে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে। অভিযুক্তকে জামিনও দেওয়া হবে না।”