ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: লক্ষ্মীপেঁচা। ধনদেবীর বাহন। তার উপস্থিতি শুভকারী। এমনটাই লৌকিক বিশ্বাস। তেমনই এক শুভ প্রতীকের দেখা মিলল তৃণমূল ভবনের (TMC Bhaban) চিলেকোঠায়। সেখান থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি লক্ষ্মীপেঁচা। শুক্রবার বিকেল নাগাদ তৃণমূল ভবনে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ঘরের উপরের ছাদ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে তাকে। ডানায় সামান্য আঘাত রয়েছে। বনদপ্তরের কর্মীদের ডেকে পেঁচাটিকে তুলে দেওয়া হয়েছে বলে খবর।
তৃতীয়বার রাজ্যের ক্ষমতায় আসার পর সদ্যই তৃণমূল ভবন সংস্কারের কাজে হাত দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার সেই কাজ চলাকালীনই পেঁচার হদিশ মেলে। জানা গিয়েছে, বহুদিন ধরেই সে চিলেকোঠায় বাসা বেঁধে ছিল। এদিন তাকে উদ্ধারের পর দেখা যায়, ডানায় সামান্য আঘাত রয়েছে। সম্ভবত চিনা মাঞ্জায় তার ডানা কেটে গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: বাড়ছে ভিড়, আগামী সপ্তাহ থেকে বাড়তি মেট্রো চালানোর সিদ্ধান্ত কর্তৃপক্ষের]
বনদপ্তরের হাতে পেঁচাটিকে তুলে দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, তৃণমূল ভবনের যে ঘরটিতে নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বসেন, তারই চিলেকোঠা থেকে উদ্ধার হওয়া পেঁচাটি পূর্ণবয়স্ক পুরুষ পেঁচা। এর বৈজ্ঞানিক নাম কমন বার্ন আউল। সল্টলেকের (Salt Lake) বনদপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে চিকিৎসার জন্য। ডানায় যেটুকু জখম রয়েছে, তা সেরে গেলেই তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে প্রকৃতির মাঝে। তবে কীভাবে সে তৃণমূল ভবনে এল, কীভাবেই বা চিলেকোঠাতে নিরাপদে বাসা বেঁধে রইল, অথচ কেউ ঘুণাক্ষরেও টের পেল না! এ নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। যদিও সংস্কারের জন্য তৃণমূল ভবনের আনাচকানাচে হাত দেওয়ার ফলেই পেঁচার অস্তিত্বের প্রমাণ মিলেছে বলে জানাচ্ছেন কর্মীরা।