ধীমান রায়, কাটোয়া: একটি মিষ্টির দোকানে কাজ করে কোনওরকম চলত সংসার। ভাগ্যবদলের স্বপ্ন দেখলেও তা পূরণ হওয়ার আশা করতেন না সেরকম। কিন্তু রাখে হরি তো মারে কে! মাত্র তিরিশ টাকার লটারি রাতারাতি পালটে দিল যুবকের ভাগ্য। লটারির টিকিট কেটে কোটিপতি পূর্ব বর্ধমানের মিষ্টি দোকানের কর্মী।
ওই যুবকের নাম তুফার কুশমেটে। পূর্ব বর্ধমান (Purba Bardhaman) জেলার ভাতার থানার মাহাচান্দা গ্রামের বাসিন্দা বছর তিনি। মাটির বাড়ি, অ্যাসবেসটসের দেওয়াল। বাবা, মা, স্ত্রী, দুই সন্তানকে নিয়ে সংসার তুষারের। সামান্য মিষ্টির দোকানে কাজ করে দুই ছেলের পড়াশোনার পাশাপাশি সংসার চালানো কার্যত দায় হয়ে দাঁড়িয়েছিল ওই যুবকের পক্ষে। ফলে ভাগ্য ফেরার আশায় মাঝে মধ্যেই লটারি কিনতেন। মঙ্গলবার সকালে মহাচান্দা বাসস্ট্যান্ড এলাকার এক লটারি বিক্রেতার কাছ থেকে টিকিট কেনেন তুফান।
[আরও পড়ুন: রাজ্যে দৈনিক করোনা সংক্রমণ কমলেও চিন্তায় রাখছে মৃত্যু গ্রাফ, দঃ ২৪ পরগনায় একদিনে মৃত ৯]
বিকেল প্রায় তিনটে নাগাদ তিনি যখন বাড়িতে গিয়ে ভাত খেতে বসেছেন তখন মেলে সুখবর। গ্রামের দু’জন তুফানকে সুখবর দেন। জানান, লটারিতে কোটি টাকা পুরস্কার জিতেছেন তিনি। তারপরই আনন্দে আত্মহারা অবস্থা। খাওয়া সম্পূর্ণ না করেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন তিনি। এদিকে আস্তে আস্তে গ্রামের সকলে জেনে যান। প্রতিবেশীরাও তুফানবাবুদের বাড়িতে ভিড় করেন। তুফান কুশমেটে বলেন, “ভগবান মুখ তুলে চেয়েছেন। একটা ভাল বাড়ি করার ইচ্ছা আছে।”
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে একসঙ্গে লটারির টিকিট কেটে কোটিপতি হয়েছিলেন। পেশায় অটোচালক দু’জনেই। থাকেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ে। অভাবের সংসার। তার মধ্যেই প্রায় নিয়মিতই লটারির টিকিট কিনতেন তাঁরাও, ভাগ্যবদলের আশায়। তাঁরা জানিয়েছিলেন, তাঁর চারিপাশে কিছু ধারদেনা রয়েছে। প্রথমে তা শোধ করবেন। এরপর ইচ্ছে রয়েছে ছোট হলেও একটা বাড়ি তৈরির। বাকি টাকা ব্যয় করবেন সমাজ সেবা মূলক কাজে।